বগুড়ার শিবগঞ্জে স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে রত্না বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূ তিন সন্তানসহ আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। রত্না বেগম উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের তালিবপুর গ্রামের মো. শামীম প্রামাণিকের স্ত্রী।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় গৃহবধূ রত্না বেগম শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলামের সরকারি মোবাইলে ফোন দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন। পরে পুলিশ থানায় এনে খাদ্যসহায়তা ও আইনি ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়ে আত্মহত্যা থেকে তাকে নিবৃত্ত করে। রাতেই এ বিষয়ে স্বামী, শ্বশুর ও ননদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগে দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৩ বছর আগে বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার মোখলেছার রহমানের মেয়ে রত্না বেগমের সঙ্গে তালিবপুর গ্রামের নান্নু প্রামাণিকের ছেলে শামীম প্রামাণিকের (৪০) বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের তিন সন্তান রয়েছে। এর আগে রত্না বেগম চার বছর বিদেশ ছিলেন। ওই সময় তার আয় রোজগার স্বামী ও শ্বশুরকে দিয়েছেন। ২০২০ সালে দেশে ফেরার পর থেকেই ছোটখাটো বিষয়ে মারপিটসহ তার ওপর অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়। কিন্তু সন্তানের মুখ চেয়ে সবকিছু মেনে নেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় আবারও মারধর করা হলে থানায় ফোন দিয়ে আত্মহত্যার কথা জানান।

রত্না বেগম জানান, স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ওসি সাহেবকে ফোন দিয়ে সমস্যা সমাধান না করলে সন্তানসহ আত্মহত্যার কথা জানাই। পরে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, নারী কণ্ঠে আত্মহত্যার হুমকি পেয়ে নিজেও বিচলিত হয়ে পড়ি। পরে তাকে থানায় এনে বুঝিয়ে শান্ত করে খাদ্যসহায়তা এবং আইনগত সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়।

ওসি আরও বলেন, ওই গৃহবধূ আত্মহত্যার মতো কোনো কাজ করবেন না বলে আশ্বস্ত করেছেন। রোববার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে মীমাংসার জন্য বৈঠকের কথা রয়েছে।