ভুয়া ঋণ জালিয়াতির পৃথক চার মামলায় ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক পাঁচ কর্মকর্তাকে ৬৮ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ৪ কোটি ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪ কোটি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।
এছাড়া অন্য দুই মামলা দুইজনকে ১৭ করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৬৮ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. হারুন, সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম মোহাম্মদউল্লাহ, সাকেক এস ই ভি পি মাহমুদা হোসেন, সাবেক ই ভি পি কামরুল ইসলাম এবং সাবেক উপ-ব্যবস্থানা পরিচালক ফজলুর রহমান।
এদের প্রত্যেকের চার মামলায় দুদকের একটি ধারায় ১০ বছর করে ৪০ বছর কারাদণ্ড ও এক কোটি করে মোট চার কোটি টাকা জরিমানা এবং আপর একটি ধারায় ৭ বছর করে ২৮ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
অন্য দুটি মামলায় ব্যাংটির সাবেক এ ভি পি তরিকুল ইসলাম ও গ্রাহক সালাউদ্দিনকে একটিতে ১০ বছর করে এবং অন্যটিতে ৭ করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
অপরদিকে ব্যাংকের সাবেক ইও ইমামুল হককে খালাস প্রদান করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আসামিরা নিজে লাভবান হওয়ার জন্য পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া ঋণপত্রের মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেন। এ ঘটনায় ২০০৬ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক ৪টি মামলা করা হয়। ২০১৩ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।