শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও আনারসের জুরি নেই। এতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আনারসে প্রোটিওলাইটিক এনজাইম ও ব্রোমালিন থাকে; যা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও গলা ব্যথা ও অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে আনারস উপকারী। একই সঙ্গে অতিরিক্ত মেদ কমাতে আনারস কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
আনারসে ব্রোমেলিন নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা মূলত আনারসের রসে পাওয়া যায়। এটি পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে।
আনারসে প্রচুর ফাইবার থাকে। আনারসের এই ফাইবার অত্যন্ত উপকারী। ফাইবার থাকার ফলে আনারস খাওয়ার পরে একটি তৃপ্তি বোধ আসে, পেট ভর্তি থাকে। এ কারণে খুব তাড়াতাড়ি ক্ষুধা অনুভূত হয় না। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে না। এটি হজমের জন্যও দারুণ উপকারী।
বাড়িতে সহজেই আনারসের জুস বা রস তৈরি করা যায়। এজন্য ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে আনারসের ছোট ছোট টুকরো করুন। এবার ব্লেন্ডারে একটু পানি দিয়ে আনারসের টুকরোগুলো দিয়ে দিন।
যতক্ষণ না টুকরোগুলো ভালো করে মিশে যাচ্ছে ততক্ষণ ব্লেন্ড করুণ।এবার ছাকনি দিয়ে রস ছেঁকে নিন। প্রয়োজনে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে নিন।
তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আনারস কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। এটি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। কারণ আনারসে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ রয়েছে। তবে পরিমাণ মত খেলে ক্ষতি হয় না। সূত্র : এনডিটিভি