এ সরকারের মেয়াদেই তিস্তার পানি চুক্তি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি আরও বলেন, তিস্তা রক্ষায় নেওয়া হয়েছে মেগা প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহারে তিস্তার পানি চুক্তির ব্যাপারে বলা আছে। অবশ্যই তিস্তা চুক্তির বিষয়টি সরকারের মাথায় আছে। এজন্যই প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার ব্যায়ে তিস্তা ব্যারেজসহ তিস্তা নদীর নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। তিস্তা নতুন করে সাজানো হবে। সেটি হলে তিস্তা পাড়ের মানুষের শুকনো ও বর্ষাকালের সময়ে এত কষ্ট থাকবে না। শনিবার তিস্তা ব্যারেজ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিস্তা নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা বাড়ানো হবে। সেটি যদি করা যায় তাহলে তিস্তার মানুষ বর্ষাকালে ও শুকনো মৌসুমে কিছুটা পরিত্রাণ পাবো।
তিস্তা ব্যারেজের অটোমিশন সুইচ অচল বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রায় ৬ কোটি টাকায় তিস্তা ব্যারেজে ৫২টি গেটের অটোমেশিন সুইচের কাজ করে বুয়েটের ইঞ্জিনিয়াররা। তবুও যদি সুইচ অচল থাকে তবে তাদেরকে টাকা দেওয়া হবে না।
ডেঙ্গু নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিজেকে আগে পরিষ্কার থাকতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। যদিও গ্রামে ডেঙ্গু রোগী নেই, আছে সব শহরে। এর কারণ, শহরে রাস্তার পাশেই ময়লা ফেলে দিয়ে যায়। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর চৌধুরী, অতিরক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) শাহিনুর আলম, সদর সহকারী কমিশনার(ভূমি) জোহরা সুলতানা জুথি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানসহ নীলফামারী ও লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।