ভোক্তা ও ভোজনরসিকদের স্বার্থ রক্ষায় রোববার ঢাকার ৫৭টি রেস্টুরেন্টকে মান বিবেচনায় ‘এ-প্লাস’ (উত্তম) ও ‘এ’ (ভালো) গ্রেডের স্বীকৃতি দিয়েছিল বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবে স্বীকৃতি পাওয়ার পরদিন ‘ভালো’ তিনটি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে পাওয়া গেল বাসি খাবার আর নোংরা পরিবেশ!
রেস্টুরেন্টগুলো হচ্ছে সেগুনবাগিচা এলাকার ভোঁজ বাংলার স্বাদ, বাগিচা রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টার, ইনজয় রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড ফাস্ট ফুড।
সোমবার এই তিন রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। রেস্টুরেন্টের ‘দুর্দশা’ দেখে তাদের ১ লাখ টাকা করে মোট ৩ লাখ জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানটি পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল ও জান্নাতুল ফেরদাউস।
আব্দুল জব্বার মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, সেগুনবাগিচা এলাকায় তিনটি নামি-দামি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হয়। রেস্টুরেন্টগুলো ‘এ’ ক্যাটাগরির (ভালো মানের স্বীকৃতি) স্টিকারপ্রাপ্ত। বাগিচা রেস্টুরেন্টে অভিযানে গিয়ে নোংরা অপরিছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরির চিত্র দেখা যায়। এছাড়াও তাদের ফ্রিজে কয়েকদিনের বাসি খাবার রাখা ছিল। তারা সেসব খাবার ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। এছাড়াও তারা ১৬ টাকার সফট ড্রিংকস ২৫ টাকায় বিক্রি করছে। আইন অনুযায়ী এটি একটি দণ্ডনীয় অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, একইভাবে ভোঁজ বাংলার স্বাদ (রেস্টুরেন্ট)-এ গিয়ে নোংরা অপরিছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরি ও পুরনো বোতলে বোরহানি বিক্রির চিত্র দেখা যায়। ইনজয় রেস্টুরেন্টে মেয়াদোত্তীর্ণ দই বিক্রির প্রমাণ মিলেছে । এছাড়াও তাদের কোনো পণ্যের মূল্য তালিকা ছিল না। এসব অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠান প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এ সময় তিনটি প্রতিষ্ঠানই তাদের ভুল স্বীকার করে। একই সঙ্গে আগামী দুই এক দিনের মধ্যে সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দেয় বলে জানান জব্বার মন্ডল।
এছাড়াও অভিযানে প্রেসলি বেকারিকে ৩৫ হাজার টাকা এবং তওফিস ফ্যামিলি কর্নারকে ১০ হাজার টাকা জারিমানা করা হয়।
ভোক্তার সহকারী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তাদের মান দেখে স্টিকার দিয়েছে। এখন তারা নিয়ম না মানলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের আমরা তদারকি করবো। এরই অংশ হিসেবে আজকে তিনটিকে জরিমানা করা হয়েছে। আগামীতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এর আগে রোববার রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন ও সচিবালয়সহ কয়েকটি এলাকায় পাইলট প্রকল্প ১৮টি এ-প্লাস এবং ৩৯টি এ গ্রেডের স্টিকার দেয়া হয়।
গ্রেডিং সিস্টেমের আওতায় খাবারের মান, বিশুদ্ধতা, পরিবেশ, ডেকোরেশন, মনিটরে রান্না ঘরের পরিবেশ দেখা যাওয়ার ব্যবস্থা ও ওয়েটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ভিত্তিতে রেস্তরাঁগুলোতে চার ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করা হবে। এসব বিচারে ৯০ নম্বরের বেশি স্কোর হলে সবুজ বর্ণের স্টিকার ‘এ+’, স্কোর ৮০’র ঊর্ধ্বে হলে নীল বর্ণের স্টিকার বা ‘এ’, ৫৫ থেকে ৭৯ পর্যন্ত স্কোর হলে হলুদ বর্ণের ‘বি’ এবং ৪৫ থেকে ৫৫ স্কোর হলে কমলা বর্ণের ‘সি’ ক্যাটাগরির স্টিকার দেয়া হবে।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com