করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সিলেটে কর্মহীন হয়ে পড়ায় নিম্নবিত্ত তো বটেই মধ্যবিত্তরাও সঙ্কটে পড়েছেন। কারও কাছে হাত পাততেও পারছেন না অনেকে। এ অবস্থায় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা ফরম পূরণের জন্য জনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে ফি দিতে হচ্ছে।
আজ (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের দিন ইউসেপ ঘাসিটুলা স্কুলের সুবিধাবঞ্চিত চার এসএসসি পরীক্ষার্থীর ফরম পূরণের জন্য জনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে মোট ৮ হাজার টাকা দিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) জেদান আল মুসা ও সিলেট মহানগর পুলিশের নায়েক শফি আহমেদ।
করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে সিলেটের এই দুই মানবিক পুলিশ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন নানাভাবে। কখনও খাদ্য সহায়তা আবার কখনও নগদ সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ইউসেপ ঘাসিটুলা স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও এর আগে আরও দুই দফা খাদ্যসামগ্রী সহায়তা ও ঈদ উপহার হিসেবে নতুন পোশাক ও ঈদের খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। পুলিশের এমন মানবিক সহায়তা পেয়ে খুশি সুবিধা বঞ্চিত এসব শিক্ষার্থীরাও।
শনিবার বিকেলে সিলেট নগরের ঘাসিটুলা এলাকায় ইউসেপ ঘাসিটুলা স্কুলের অধিকারবঞ্চিত শ্রমজীবী চারজন এসএসসি শিক্ষার্থীকে দেয়া শিক্ষা সহায়তা বিতরণ করা হয়। স্কুলের সহকারী শিক্ষক শাহিদা জামানের তত্ত্বাবধানে বিকেল ৫টায় এ শিক্ষা সহায়তার নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া ও কমিউনিটি সার্ভিস বিভাগের নায়েক মো. সফি আহমেদ বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত সহস্রাধিক পরিবারকে সহায়তা করেছি। এছাড়া মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ও সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানায় দুজন অসহায়কে ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। মানবিক এসব কাজে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) জেদান আল মুসা স্যার, প্রবাসী সাব্বির আহমেদ ও প্রদীপ সিনহাসহ অনেক প্রবাসী ভাই আমাকে সহযোগিতা করছেন নানাভাবে।