চলতি মাসেই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষাবোর্ডগুলো। এ জন্য টানা ৪১ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও সব শিক্ষা বোর্ড আংশিক খোলা হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় স্থানীয় ডাক বিভাগের সহায়তায় উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) বোর্ডগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক জানিয়েছেন, ৯৯ ভাগ ওএমআর শিট বোর্ডের কাছে এসে পৌঁছেছে। এগুলোর স্ক্যানের কাজ চলছে। এর মধ্যে বাকি ১ ভাগও চলে আসবে। ঈদের পর পরীক্ষার ফল দেয়ার চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান।
বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, তারা ফল প্রস্তুত করে রাখবেন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলেই ফল প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, অন্যান্য বছরের মতো এবারও স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএস করে পরীক্ষা ফল জানা যাবে। তবে ঘরের বাইরে না গিয়ে কীভাবে সহজেই শিক্ষার্থীদের কাছে ফলাফল পৌঁছে দেয়া যায়, সে বিষয়টি নিয়েও শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, মে মাসের শেষভাগে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে রেজাল্ট প্রকাশের সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে; যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফল প্রকাশ করা যায়।
বোর্ডগুলো থেকে জানা গেছে, ১১টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যা মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ক্ষেত্রে। এ দুটি বোর্ডের খাতা সারাদেশে ছড়িয়ে আছে। অন্যান্য বোর্ডের ক্ষেত্রে এ সমস্যা নেই। তাদের খাতা নির্দিষ্ট কয়েকটি জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
এবার ফল প্রকাশ করা হবে মোবাইল ফোনে ও অনলাইনে। ফল পেতে মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে পরীক্ষার্থীদের। সোমবার থেকে প্রি-রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। নিবন্ধনের জন্য যেকোনো মোবাইল অপারেটরের নম্বর থেকে SSC Board Name (প্রথম তিন অক্ষর) Roll Year লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রতি এসএমএসের জন্য দুই টাকা চার্জ নেওয়া হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাতে মোট পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় সাড়ে ২০ লাখ।