বাংলাদেশ যখন পিছিয়ে ৩-১ গোলে। বৃষ্টিস্নাত মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ তখন প্রহর গুণছেন আরেকটি পরাজয়ের।
সেখান থেকেই যেন ভোজবাজির মতো ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। শেষ ছয় মিনিটে দুই গোল দিয়ে সমতা ফেরাল ম্যাচে। এরপর টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারাল চীনকে, নিশ্চিত করল এবারের এশিয়া কাপে অন্তত ছয়ের নিচে নামছে না। এশিয়া কাপ হকিতে প্রথমবারের মতো হাসতে পারলেন জিমিরা।
ম্যাচের শুরু থেকে দারুণ দাপটের সঙ্গে খেলছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পেনাল্টি কর্ণার ঠেকাতে না পারার খেসারত দিতে হয়েছে শুরু থেকেই। ১৭ মিনিটেই দু তালাকে দুইটি পেনাল্টি কর্ণার থেকে গোল করে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন চীনকে। বাংলাদেশ তখনও আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিল। যেটির ফল পায় ২৫ মিনিটে এসে।
রুম্মান সরকারকে পেছন থেকে ফেলে দিলে পেনাল্টি কর্ণার পায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে গোল করে এগিয়ে দেন আশরাফুল ইসলাম।
কিন্তু তিন মিনিট পরেই আবার পেনাল্টি কর্ণার পায় চীন, আবারও গোল করে এগিয়ে দেন দু তালাকে। প্রথম তিন কোয়ার্টারে আর কোনো গোল শোধ করতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়ায় চতুর্থ কোয়ার্টারে, ৫৩ মিনিটে ওঁৎ পেতে থাকা মিলন স্টিকের আলতো ছোঁয়ায় ব্যবধান কমান। এক মিনিট পরেই পেনাল্টি কর্নার পায় বাংলাদেশ, এবার আর ভুল করেননি খোরশেদুর, গোল করে সমতা ফেরান ম্যাচে।
এরপর টাইব্রেকারে প্রথম চারটি পেনাল্টি শুট শেষে ছিল ৩-৩ সমতা। চীন পঞ্চম শুট মিস করলে রাসেল মাহমুদ জিমির ওপরেই দাঁড়ায় অগ্নিপরীক্ষা। ভুল করেননি তিনি, গোল করেই নিজের হকিস্টিক ছুঁড়ে মেতেছেন উচ্ছ্বাসে।
জার্সি খুলে সতীর্থদের সঙ্গে তার উদযাপনে ভেসে যাওয়া বলছে, বাংলাদেশের জন্য এই জয় কতটা দরকার ছিল। তার চেয়েও বড় কথা, এই জয়ের ফলে পরেরবারের এশিয়া কাপ হকির বাছাইপর্ব খেলতে হবে না বাংলাদেশকে, টিকিট পাবে সরাসরিই। আগামীকাল পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এখন জাপান।