শিশু নির্যাতন
– এম টি সাবিহা
আমি একটা সকালের কথা ভেছিলাম
খা খা রৌদ্র থাকবে
আলো ছড়িয়ে পড়বে চার পাশ
গাছের পাতার ফাঁক গলে রোদেরা খেলা করবে
সেই আলপনা আঁকা উঠোনে
শিশুর পা পা হাঁটি হাঁটি পড়ে যাওয়া
ডানে বামে চেয়ে আবার হাঁটি হাঁটি পা পা
স্বর্গ কত কাছে শিশুর মুখের নির্মল হাসি।
স্বার্থের ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য হিস হিস ফণা তোলে
পরকীয়া, এক টুকরো জমি
কত ঠুনকো লোভে মানুষ অমানুষ হয়
মনে পড়ে না – সেও একজন মানুষ
মানবতা তার পার্থিব ধর্ম
সে শুধু বোঝে পেতে হবে তাকে
নিষিদ্ধ প্রেম কিংবা অনাধিকার এক খণ্ড জমি
বেহুশ মাথায় কিছু আসে না
প্রতিশোধ নয়, নিষিদ্ধ আসক্তি মাথাচাড়া দেয়
জমি দে না হয় ছেলেক হারা চিরতরে।
মানুষের অবৈধ কামাসক্তি
অবারিত সুযোগ চায়
মা হারিয়ে ফেলে মাতৃত্ব, প্রলোভনের বিষে –
আগলে রাখে বুকের ধনকে
কি করে কি হয়ে যায় নিষিদ্ধ পাপে
ডুবতে ডুবতে বুক থেকে বুকের মানিক খসে পড়ে
হায় প্রেম, হায় শরীর কত ক্ষুধাৎ
তুই ভুলে গেলি, তুই মা তুই জননী!
স্বার্থ লোভের লোভাতুর কাপুরুষ
বিপন্ন করে তুমুল জীবন
এক টুকরো জমি পেলি না বলে অধম বেছে নিলে হায়নার স্বাভাব
শিশুর জীবন নিলে, হবে তোর পাওয়া?
পাপ, পাপ বুঝিস অধম?
জীবনের মর্ম পায়ে দলে
জীবনকে পাপের পঙ্কিলতায়
সবার অগচোরে দিলি
নিষ্পাপ শিশুকে বালি চাপা দিয়ে?
শিশুর মৃত্যুর কালে একবার চেয়ে দেখিস নি
দেখিসনি ফেরশতার বুক ফাটা ক্রন্দন?
তুই তো পারলি না নিজেকে বাঁচাতে
তবে, কেন দিলি মাবতার কবর!
২৬.০২.১৯, সন্ধ্যা ৭:২০ ঢাকা।