স্বাস্থ্য ক্যাডারে ৩৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় সদ্য ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরও আবেদন করতে পারবেন। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে যাদের এমবিবিএস পরীক্ষা শেষ হবে তারাও পরীক্ষার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পিএসসি’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছার উদ্দিন বলেন, গত ১০ এপ্রিল ৩৯তম বিসিএসের আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এ সময়ের মধ্যে যদি কারও এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়, সেও আবেদনের ক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত।
তিনি বলেন, সংশোধিত আইন অনুযায়ী এমবিসিএস পাসধারী ২১-৩২ বছর বয়সীরা এই বিসিএসে অংশ নিতে পারবেন। বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ ধরনের লিখিত ও ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে এককালীন চিকিৎসক নিয়োগ দিতে বিধিমালাও সংশোধন করে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, গত ৭ এপ্রিল কমিশনের ওয়েবসাইটে বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াও পরীক্ষার সিলেবাস ও নির্দেশাবলী প্রকাশ করা হয়। এই বিসিএসের মাধ্যমে ৪ হাজার ৫৪২ সহকারী সার্জন ও ২৫০ সহকারী ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ পাবেন।
সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, ২০০ নম্বরের পরীক্ষার সময় হবে ২ ঘণ্টা। নম্বরও বণ্টন করে দেয়া হয়েছে। মেডিকেল সায়েন্স/ডেন্টাল সায়েন্সে (প্রযোজ্যতা অনুযায়ী) ১০০, বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, মানসিক দক্ষতা ১০, গাণিতিক যুক্তি ১০।
প্রতিটি এমসিকিউ প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন এবং ভুল উত্তরের জন্য আধা (০.৫০) নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর কমিশন নির্ধারণ করবে এবং তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ৫০। লিখিত পরীক্ষা শুধু ঢাকায় হবে। সাধারণত বিসিএসে ২০০ নম্বরের জন্য চার ঘণ্টার এবং ১০০ নম্বরের জন্য তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হয়।
সাধারণ ক্যাডারে নিয়োগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর ২০০ নম্বরের মৌখিকসহ মোট ১১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়। আর সাধারণ ক্যাডারের বাইরে অন্য কোনো ক্যাডারে পরীক্ষায় অংশ নিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট পদ বা সার্ভিসের জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয়।