আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞ সাংবাদিক হুলিও চিয়াপ্পেত্তা, সংবাদপত্র ক্লারিনের ক্রীড়া সম্পাদক। ৪০ বারেরও বেশি ডিয়েগো ম্যারাডোনার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। বুধবার বিশ্বে সবার আগে আর্জেন্টাইন ফুটবল গ্রেটের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছেন তিনি।
কীভাবে ওই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন চিয়াপ্পেত্তা, স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কাকে তা বলেছেন।
সংবাদটা যখন ব্রেকিং দিলেন, তখন কী কেঁদেছিলেন?
চিয়াপ্পেত্তা: এই নিউজ প্রকাশ করতে আমার আধঘণ্টা সময় লেগেছে। আমি একটিও লাইন লিখতে পারছিলাম না। আমার সহকর্মীরা লিখেছিল, আমি ওই সময় বাসায় ছিলাম। এই কারণে নিউজে আমার নাম লেখিনি।
এই সেঞ্চুরির সবচেয়ে বড় খবর ছিল এটা। প্রকাশের আগে আপনাকে কতবার নিশ্চিত করতে হয়েছে?
চিয়াপ্পেত্তা:
দুইবার। এই সংবাদটা আমার সহকর্মী মারিয়ানো ভেরিনা পেয়েছিল এবং পরে সে নিশ্চিত হলো একটি মেসেজ পেয়ে, যেখানে লেখা ছিল কয়েকটি শব্দ: ‘তিনি মারা গেছেন।’ পরে ডিয়েগোর নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে আমি নিশ্চিত হই। মাত্র একটি সূত্র থেকে নিশ্চিত হয়ে নিউজ ছাপার ঝুঁকি নেইনি। দ্রুত নিশ্চিত হয়ে তারপর আমরা এটি ব্রেক করার সিদ্ধান্ত নেই।
যেখানে তিনি মারা গেছেন, সেই বাসার কেউ কি এটা নিশ্চিত করেছিল?
চিয়াপ্পেত্তা: হ্যাঁ, ডিয়েগোর খুব কাছের একজন। তারপরই আমি আমার সংবাদপত্রকে বলেছি। স্থানীয় সময় একটা ৬ মিনিটে আমরা প্রকাশ করেছি। তখন আমি হাঁটু গেড়ে আমার কম্পিউটারের সামনে একা অনেক কেঁদেছি।
তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার কতক্ষণ পর ক্লারিনে সংবাদ প্রকাশিত হলো?
চিয়াপ্পেত্তা: দুই ঘণ্টা।
এই বিশাল একটা নিউজের পর কী আপনার পেশাদার জীবন পাল্টাতে যাচ্ছে?
চিয়াপ্পেত্তা: না, জীবন স্বাভাবিক আছে। আমি সাংবাদিক হতেই জন্মেছি এবং সাংবাদিক হয়ে মারা যাবো। আমি বিস্মিত এবং এখনও অনেক কষ্ট হচ্ছে। এই নিউজ ব্রেক করার পর আমি নিজেকে কম-বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি না। আমি এমন নিউজ কখনও ব্রেক করতে চাইনি। আমি একজন সাদামাটা সাংবাদিক।
কোনও অভিনন্দন পেয়েছেন কি?
চিয়াপ্পেত্তা: হ্যাঁ, এডিটর ইন চিফ রিকার্ডো কার্সবাউম এবং পরে এইচআরের কাছ থেকে। অনেক বর্তমান ও অতীতের সহকর্মীদের কাছ থেকেও অভিনন্দন পেয়েছি।
নিউজটা ব্রেক করার পর কত মেসেজ এসেছে আপনার কাছে?
চিয়াপ্পেত্তা: প্রায় ১৫০টির মতো, যাদের মধ্যে বেশির ভাগই সাক্ষাৎকারগুলো চেয়েছেন। সব মিলিয়ে কত হবে জানা নেই। তাদের মধ্যে ডিয়েগোর পরিবারের কেউ ছিল না।