টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর সেটা সম্ভব হয়েছে পেসার ইবাদত হোসেনের বোলিং নৈপূণ্যে। প্রথম ইনিংসে এক উইকেট পাওয়া ইবাদত দ্বিতীয় ইনিংসে ঝলসে উঠেন। তুলে নেন কিউইদের ছয়-ছয়টি উইকেট। তাতে মাত্র ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় ব্ল্যাকক্যাপসদের দ্বিতীয় ইনিংস। আর বাংলাদেশ জয়ের জন্য ৪০ রানের মামুলি টার্গেট পায়। সেটা ২ উইকেট হারিয়েই টপকে যায়।
ম্যাচসেরা খেলোয়াড় ইবাদত জানিয়েছেন এবার তিনি লক্ষ্য ঠিক করে এসেছিলেন ভালো কিছু করার, ‘প্রথমে ধন্যবাদ জানাতে চাই আল্লাহকে। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে আমাদের দল ২১ বছর ধরে কোনো ম্যাচ জেতেনি। এবার একটা লক্ষ্য ঠিক করে এসেছিলাম। নিজেদের হাত তুলেছি, আর বলেছি তারা টেস্ট চ্যাম্পিয়ন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তাদের হারানোর উদাহরণ রেখে যেতে হবে।’
পেস, লাইন-লেন্থ, ইন-সুয়িং, আউট-সুয়িংয়ের মিশেলে দারুণ বোলিং করে ইবাদত মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন তার প্রস্তুতির কথাও, ‘গত দুই বছরে ওটিস গিবসনের সঙ্গে আমি কাজ করেছি। ঘরের মাঠে কন্ডিশন সবসময় ফ্ল্যাট থাকে। আমরা এখনো বাইরে কীভাবে বল ও রিভার্স করতে হয় সেটা শিখছি। আমার সাফল্যের জন্য কিছুটা ধৈর্য্য ধরতে হয়েছে।’
নিউ জিল্যান্ডের এক একটা উইকেট নিয়েছেন আর স্যালুট দিয়েছেন ইবাদত। স্যালুট দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন সদস্য। জানি কীভাবে স্যালুট দিতে হয়। আর ভলিবল থেকে ক্রিকেটে আসার গল্পটা অনেক লম্বা। আমি ক্রিকেটটা উপভোগ করছি। বাংলাদেশ ও বিমান বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করাটাও উপভোগ করছি।’