সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ছিল গত কয়েক আসরের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত। আয়োজন, টিকিট ব্যবস্থাপনা, এমনকি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ইস্যু নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। তবে এই আসরে কিছু ইতিবাচক দিকও ছিল। বিশেষ করে দর্শকের আগ্রহ ছিল ব্যাপক।
গত দশ আসরের চেয়ে এবারের বিপিএলে সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এমনকি গত দশ আসরে সবমিলিয়ে যত টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে তার প্রায় ৮০ শতাংশের সমান টিকিট বিক্রি হয়েছে এবার এক আসরেই। যা বিপিএল নিয়ে দর্শকদের আগ্রহের প্রমাণ দেয়।
আজ বিসিবি প্রকাশিত এক ভিডিওতে সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘পুরো বিপিএলে আমরা প্রায় ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করেছি। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গত ১০ আসরে যে টিকিট বিক্রি করেছে, ১৫ কোটি টাকার মতো। সেটা বিবেচনা করলে আমরা এক বছরেই সেটার কাছাকাছি চলে গেছি। আমরা টিকিট স্বত্ব বিক্রি বাবদও তিন বছরের চুক্তি করেছি এক কোটি টাকা করে।’
বিপিএল শুরুর সময় পরিবর্তন করা নিয়ে ফারুক বলেন, ‘আগামীর বিপিএল নিয়ে এখনই কাজ শুরু করে দিয়েছি। একটা সময় বের করেছি আমরা। এখন তো সব দেশে অনেকগুলো টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয়, ওগুলোর সঙ্গে সময়টা সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। আমরা একটু অন্যরকম করে করতে পারি সময়, যেন একটু মানসম্পন্ন বিদেশি পাই।’
এবারের বিপিএলে ইতিবাচক দিক থাকলেও বেশ কিছু সীমাবদ্ধতাও ছিল বলে স্বীকার করেছেন বিসিবি সভাপতি। ফারুক বলেন, ‘বিপিএলে কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। টিকিট যেহেতু নতুন একটা সিস্টেমে (হয়েছে), প্রথম দিকে ঝামেলা ছিল। দুয়েকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টাকা দেওয়ার ব্যাপারেও একটু অসুবিধার সৃষ্টি করেছে। তবে যদি সব মিলিয়ে দর্শক, উইকেট, টিকিট বিক্রি, দর্শকদের অংশগ্রহণ এবং আমাদের টিভি প্রোডাকশন ভালো হয়েছে।’