এনবিআর ঢেলে সাজানো দরকার: পরিকল্পনামন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ঢেলে সাজানো দরকার বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্না।

তিনি বলেছেন, কতোগুলো বিষয় রিফর্ম (সংশোধন) বা হাত দেওয়া দরকার। শিক্ষার রিফর্ম করা দরকার। তবে আমি মনে করি এনবিআর ঢেলে সাজানো দরকার। এটা আমি সব সময় বলে এসেছি। টাইম এখন আমাদের জন্য। এখনই এটা রিফর্ম করা দরকার।

শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সিএ ভবনে আসন্ন বাজেটে ‘ক্ষুদ্র অর্থনীতি: প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাজেট বরাদ্দ একটা রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ব্যাপার। কিছু বাধ্যবাধকতা আছে, কিছু ঠেকার মধ্যে থাকে সরকার। ঐতিহাসিকভাবে এটা সত্য কিছু কায়েমি স্বার্থ আছে। এটা হঠাৎ করেই কেটে ছোট করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেও সম্ভব নয়। তবে আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি এটা ভাঙার জন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) চেষ্টা করছেন। আমি তার কাছ থেকে দেখছি। ঐতিহাসিক কিছু বিষয় থেকে তিনি বের হওয়ার চেষ্টায় আছেন।

‘কতগুলো কালচারাল বিষয় আছে যেটা গণতান্ত্রিক দেশে থাকা উচিত নয়। এটা গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। কী পরিমাণে টাকা শহরে মাথাপিছু ব্যয় করা দরকার, কী পরিমাণে গ্রামে মাথাপিছু ব্যয় করা দরকার এটা বের করা উচিত। এটা নিয়ে বিচার বিবেচনা করা দরকার।’

এম এ মান্না বলেন, উৎপাদিত বিষয় ছাড়া ব্যয় কঠিন। আমি একজন বয়স্ক মানুষ, এটা নিয়ে আমার আপত্তি আছে। অহেতুক ব্যয় কেন? এটা তো তেলা মাথায় তেল দেওয়া। নাগরিক সমাজ ব্যবসায়ী সমাজ থেকে বার বার চাপ আসবে। সরকারও চাপে থাকে। আপনারা স্টাডি রাখবেন। বুলেট ফর্মে প্রস্তাব দেবেন। এগুলো আমরা পাঠাবো। কী হয় না হয় এই গ্যারান্টি আমার নেই।

প্রাইভেট সেক্টর প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। শেখ হাসিনার সঙ্গে আমরাও পাশে থাকবো। প্রাইভেট খাতে আরও স্বাধীনতা দরকার। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য, প্রাইভেট সেক্টরকে বেশি স্বাধীনতা দিতে পারিনি। রেমিট্যান্স আমাদের জন্য আশীর্বাদ। অথচ যারা বিদেশে লোক পাঠায় তাদের আমরা আদম ব্যাপারী বলি। তাদের সামাজিকভাবে ধ্বংস করে ফেলি।

তিনি বলেন, আমাদের কিছু সমস্যা আছে। সিভিল সোসাইটি আমাদের বকাঝকা করে। কিন্তু সিভিল সোসাইটির কাছ থেকে আমরা উপদেশও আশা করি। গত ১২ বছর শেখ হাসিনা দেশে যে উন্নয়ন করেছে তার টেকসই দরকার। তিনি অনেক উন্নয়ন করেছে এটা অস্বীকার করার নেই। অনেকে বলে এটা মানি না এটা ধ্বংস করতে হবে। গণতন্ত্রের শেষ ছবক নির্বাচন। অনেকে বলে সংবিধানকে মানি না মানবো না। আমরা নির্বাচনে যাবো না। জনমনে একটা নেতিবাচক বিষয় সৃষ্টি করা হয়। পলিউশনের চেয়ে এটা আরও খারাপ। এই বিষয়গুলো আপনারা বলবেন। অনেকে বলে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড অথচ খেলা করে না। এটা হতে পারে না।

যৌথভাবে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) ও ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএবি’র সভাপতি মো. শাহাদাৎ হোসেন ও ইআরএফ’র সভাপতি শারমীন রিনভী। এতে অংশ নেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সভাপতি সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান সভাপতি মো. আসিফ ইব্রাহিম ও ইআরএফ’র সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।