সংসদ কাজে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী (আইনমন্ত্রী) আনিসুল হক বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল এবং এর তথ্য খুবই স্পর্শকাতর। জন্ম তারিখ বা নাম পরিবর্তন করে কিছু অসাধু ব্যক্তি অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।
যেমন, মামলা- মোকদ্দমা থেকে অব্যাহতি চাওয়া, জমি-জমার মালিকানা হস্তান্তর, চাকরিপ্রাপ্তি ইত্যাদি। সেকারণে উপযুক্ত প্রমাণাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জন্ম তারিখ বা নাম পরিবর্তনের মত স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া সমীচিন হবে।
মঙ্গলবার লক্ষীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুল্লাহ-এর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, এনআইডি সার্ভিস ইসলামী ফাউন্ডেশনে থাকাকালীন জনবল স্বল্পতা, স্থান সংকটসহ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। নির্বাচন কমিশন যা চিহ্নিত করে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় জনবল সংগ্রহ, কেউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম স্থাপন, আবেদন জমা ও কার্ড বিতরণ কাউন্টার স্থাপন, সম্মানিত প্রবাসী ও সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আলাদা কাউন্টার স্থাপন, আবেদনকারীদের বসার সুবন্দোবস্তসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তাছাড়া বর্তমানে নিজ নিজ উপজেলা অফিসে বসে এনআইডির প্রয়োজনীয় কাজ বা সংশোধন সম্ভব হয়েছে। তবে শুধুমাত্র হারানো/ নষ্ট হওয়া এনআইডি জরুরি সেবা পাওয়ার জন্য আগরগাঁও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ভবনে সেবা পাওয়া সম্ভব। তা ছাড়া আবেদনকারীকে তার এনআইডি কার্ডের আবেদন জমার পরে ধাপে ধাপে তাদের দেয়া মোবাইল ফোনে অগ্রগতি জানানো হয়। সেজন্য হয়রানি কমেছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি জানান, ইসি কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘কনস্ট্রাকশন অব উপজেলা এ- রিজিওনাল সার্ভার স্টেশনস ফর ইলেকট্ররাল ডাটাবেজ ’ প্রকল্পের আওতায় ২০০৮-১৬ মেয়াদে সারা দেশে ৯টি আঞ্চলিক অফিস, ৫৪টি জেলা নির্বাচন অফিস, ৩৯৪টি উপজেলা নির্বাচন অফিস ও ৯টি থানা নির্বাচন অফিস নির্মাণ ও ক্রয় করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে জমিরমূল্য অত্যাধিক হওয়ায় ৭টি থানা নির্বাচন অফিস স্পেস ক্রয় করা হয়। এগুলো হলো- ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর, পল্লবী ও ক্যান্টনমেন্ট।