এটেনডেন্ট ‘সংকটে’ রেলওয়ে

:
: ৭ years ago

বাংলাদেশ রেলওয়ে দেশের বৃহত্তর গণপরিবহণ হিসেবে পরিচিত। দেশের অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ব্যবস্থায় রেলপথই বাংলাদেশের মানুষের শেষ ভরসা হিসেবে সাধারণের মাঝে প্রচলন আছে। সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় রেলের আধুনিকায়নসহ অগ্রাধিকার বেশ কয়েকটি প্রকল্পও চলমান রয়েছে। ঠিক তেমনিভাবেই রেলের আন্তঃনগর ট্রেনগুলো যথসময়ে চলাচল করলেও যাত্রী সেবার মান, ট্রেনে ছিনতাই, টিকেট বিহীন যাত্রীসহ নানাবিধ সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। এর মূল কারণ হচ্ছে ট্রেনের ‘এটেনডেন্ট সংকট’। দীর্ঘ বছর আগেই ২১৫ জনের পদ মঞ্জুরী ছিল। এ পদের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৬৭জন। এদের মধ্যে অনেকেই অবসরে এবং মামলার কারণে ৩১ জন কর্মস্থলে নেই। সবমিলে এটেনডেন্ট সংকটের কারণে যাত্রী সেবার মান, ছিনতাইয়ের ঘটনায় লেগেই আছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। একইভাবে পূর্বাঞ্চল ও রাজশাহীতে প্রতিটি ট্রেনে এটেনডেন্ট সংকট নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে বলেও জানান রেলওয়ে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর এক্সপ্রেস, উদয়ন, পাহাড়িকা, উপকূল, তিস্তা, যমুনাসহ বেশ কয়েকটি ট্রেনে এটেনডেন্ট নেই বললেই চলে। এসব ট্রেনে সাধারণ যাত্রীরা নানাবিধ সমস্যায় পড়ে থাকেন প্রতিনিয়ত। এদের মধ্যে তিস্তা ও মহানগর এক্সপ্রেসের অবস্থা একেবারেই করুন। কয়েক বছরে সোনার বাংলাসহ নতুন ট্রেন ও কোচ লাগানো হলেও এটেনডেন্ট বাড়ানো হয়নি। পূর্বাঞ্চলের সূবর্ণা, সোনার বাংলা, গোধূলীসহ কয়েকটি ট্রেনে ‘আউট সোসিং’ এর মাধ্যমে বেসরকারিভাবে এটেনডেন্ট নিয়োগ করা হলেও পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ট্রেনেই এটেনডেন্ট বিহীন চলছে ট্রেন।

তবে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে সংকট কাটাতে প্রয়োজনে বেসরকারি হিসেবে হলেও নিয়োগ দেয়ার দাবি করছেন সাধারণ যাত্রী আজমসহ অনেকেই। তার বলছেন, বেশ কয়েকটি বগি মিলেই দেখা যায় একজন এটেনডেন্ট। যাত্রীদের কোন ধরণের সমস্যা হলেও কোন লোকই যাওয়া যায় না। সেই সুযোগেই ঘটে যায় ছিনতাই, টিকেট বিহীন যাত্রী উঠাসহ নানান সমস্যা।

পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রকৌশলী মো. আবদুল হাই বলেন, রেলে লোকবল সংকট তো আছেই। চেষ্টা করছি দ্রুত নিয়োগ শেষ করার জন্য। খুব সহসা খালাসী নিয়োগ করার চেষ্টা চলছে। বাকি নিয়োগগুলোও দ্রুত দেয়ার কাজ প্রক্রিয়াদিন রয়েছে। তবে এটেনডেন্ট সংকট থাকলেও যাত্রী সেবার মান ঠিক রাখতে প্রতিনিয়ত মনিটরিং ও রেল প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি। তাছাড়া প্রধান যান্ত্রীক প্রকৌশলী (সিএমই) মনজুর উল আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।