এখন সব অনিশ্চয়তা কেটে গেছে, নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে নুসরাত

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

‘বিশ্বাস ছিল, তাই পিছিয়ে যাইনি বলে আজ সফল হয়েছি। দুই বছর পর হলেও চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছি। এখন সব অনিশ্চয়তা কেটে গেছে।’ নিয়োগপত্র পেয়ে অনেক ভালো লাগছে বলে জানালেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া নুসরাত আরা। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে চাকরির নিয়োগপত্র পাওয়ার পর এভাবে নিজের অনুভূতি জানালেন তিনি।

দুই বছর আগে সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষে নির্বাচিত ২ হাজার ১৫৫ জনকে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) সুপারিশ করে। এর মধ্যে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ায় পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে আটকে যায় এ নিয়োগ কার্যক্রম। এতে করে নির্বাচিতদের মধ্যে অনেকে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়ে গেছেন। কেউ কেউ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে অধিকাংশ প্রার্থীই সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করতে পারবেন এ বিশ্বাস নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। সোমবার তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

অন্যদিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে থাকে এনটিআরসিএ। করোনা ও মামলাজনিত কারণে গত তিন বছর নিয়োগ কার্যক্রম আটকে ছিল। গত সাত মাস আগে মেধাভিত্তিক নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএ সারাদেশে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করলেও মামলাজনিত কারণে প্রাথমিকভাবে ৩৮ হাজার ২৮৩ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর তাদের নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে এ নিয়োগ কার্যক্রমও আটকে যায়। বর্তমানে তাদের নিয়োগের পরে পুলিশ ভেরিফিকেশন করার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে নির্বাচিতদের মধ্যে ৩৪ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার একটি এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুলে নিয়োগ পেয়েছেন রিম্পা সরকার। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এনটিআরসিএর ১৫তম ব্যাচে পরীক্ষা দিয়ে নিবন্ধিত হয়েছি। তিন বছর পর চাকরি পেলাম। অনেক ভালো লাগছে।

নিজেকে একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে গড়ে তুলতে চান বলে জানান রিম্পা। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের বদলি ব্যবস্থা নেই। বদলি হতে হলে নতুন করে আবেদনের মাধ্যমে নিয়োগ নিতে হয়। সরকারি বিদ্যালয়ের মতো বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি হওয়ার সুযোগ তৈরির দাবি জানান তিনি। তার সঙ্গে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করারও দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম এখনো চালু করা হয়নি। বিষয়টি আমাদের মাথায় রয়েছে। এ জন্য আরও যাচাই-বাছাই প্রয়োজন রয়েছে। সেটি করে কী পদ্ধতিতে তাদের বদলি হওয়ার সুযোগ তৈরি করা যায় সেটি ভেবে দেখা হবে।

তিনি বলেন, দেশের সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এজন্য একটি গবেষণা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।