জীবন শুরু করেছিলেন চা বিক্রি দিয়েই। এখন তিনি কোটিপতি। শুধু তাই নয়, এবার ভারতের কর্নটাকা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্রও তুলেছেন তিনি।
পি অনিল কুমার বেঙ্গালুরুর বোমমানাহাল্লি আসন থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছেন। আগামী ১২ মে অনুষ্ঠেয় ওই নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনী হলফনামায় তার সম্পদের পরিমাণ ৩৩৯ কোটি রুপি উল্লেখ করা হয়েছে। তার মোট ১৬টি গাড়ি। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বিদেশ থেকে আমদানি করা। তবে এগুলোর নাম উল্লেখ করেননি অনিল।
জীবন শুরু করেছিলেন চা বিক্রি দিয়েই। এখন তিনি কোটিপতি। শুধু তাই নয়, এবার ভারতের কর্নটাকা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্রও তুলেছেন তিনি।
পি অনিল কুমার বেঙ্গালুরুর বোমমানাহাল্লি আসন থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছেন। আগামী ১২ মে অনুষ্ঠেয় ওই নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনী হলফনামায় তার সম্পদের পরিমাণ ৩৩৯ কোটি রুপি উল্লেখ করা হয়েছে। তার মোট ১৬টি গাড়ি। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বিদেশ থেকে আমদানি করা। তবে এগুলোর নাম উল্লেখ করেননি অনিল।
কেরালা থেকে আসা অনিল জীবনের প্রথম দিকে কঠোর সংগ্রাম করেছেন। বাবার মৃত্যুর পর তিন সন্তানকে মানুষ করার জন্য অন্যের বাড়িতে কাজ করেছেন অনিলের মা। অশ্রুসিক্ত হয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, আমার মা মানুষের বাড়িতে ঘর মুছতেন, থালা-বাসন ধুয়ে দিতেন। কাজ করে তিনি যে খাবার পেতেন তা নিজে না খেয়ে আগে আমাদের দিতেন।
সংসারে অভাব-অনটন থাকায় তৃতীয় শ্রেণির বেশি পড়াশুনা করতে পারেননি। ১৯৮৫ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে ব্যাঙ্গালুরু শহরে আসেন অনিল। নতুন শহরে তার থাকার কোনো জায়গা ছিল না। তাই রাতের বেলা সব দোকান-পাট বন্ধ হয়ে গেলে বন্ধ দোকানের সামনে খোলা রাস্তায় ঘুমিয়ে পড়তেন।
একদিন এক সহৃদয় ব্যক্তি তাকে কিছু খাবার দিলেন এবং তার দোকানে কাজের প্রস্তাব দিলেন। তাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আম সরবরাহ করতে বলা হলো।
অল্প কিছুদিন পরেই তিনি একটি ছোট্ট কোম্পানিতে চা বিক্রি শুরু করলেন। ১৯৯০ সালে তিনি একটি সফটওয়্যার কোম্পানি এবং একটি বড় শোরুমে চা বিক্রি শুরু করেন। সেখানে প্রচুর লোকের কাছে চা বিক্রি করা যেত। সে সময় তিনি উপার্জিত অর্থ থেকে কিছুটা সঞ্চয় করতে থাকেন।
বিয়ের পরই তার ভাগ্য বদলাতে শুরু করে। তিনি এবং তার স্ত্রী বাড়ি করার জন্য একটি জমি কেনেন। কিন্তু ওই জমি দ্বিগুণ দামে বিক্রি করে দেয়ার জন্য এক লোক তাকে প্রস্তাব দেয়। তিনি জমিটি তার কাছে দ্বিগুণ লাভে বিক্রি করে দেন।
অনিল কুমার বলেন, এটাই আমাকে রিয়েল ইস্টেট ব্যবসার সঙ্গে পরিচয় করায়। এরপর থেকেই আমি একের পর এক জমি কেনাবেচা করতে লাগলাম। এই রিয়েল ইস্টেটের ব্যবসার কারণেই আমি ছয় বছরের মাথায় কোটিপতি হয়েছি।
আট বছর আগে তিনি বোমানাহাল্লিতে এম জে ইনফ্রাস্ট্রাকচার নামের একটি কোম্পানি খোলেন। নিজের উপার্জিত অর্থ থেকে তিনি একটি গির্জা এবং একটি মন্দির বানাবেন বলে নিজের ইচ্ছার কথা জানান। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী সতীশ রেড্ডির দখলে থাকা আসনের জন্য লড়াই করবেন অনিল। নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি। এ জন্য তিনি জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন।
কেরালা থেকে আসা অনিল জীবনের প্রথম দিকে কঠোর সংগ্রাম করেছেন। বাবার মৃত্যুর পর তিন সন্তানকে মানুষ করার জন্য অন্যের বাড়িতে কাজ করেছেন অনিলের মা। অশ্রুসিক্ত হয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, আমার মা মানুষের বাড়িতে ঘর মুছতেন, থালা-বাসন ধুয়ে দিতেন। কাজ করে তিনি যে খাবার পেতেন তা নিজে না খেয়ে আগে আমাদের দিতেন।
সংসারে অভাব-অনটন থাকায় তৃতীয় শ্রেণির বেশি পড়াশুনা করতে পারেননি। ১৯৮৫ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে ব্যাঙ্গালুরু শহরে আসেন অনিল। নতুন শহরে তার থাকার কোনো জায়গা ছিল না। তাই রাতের বেলা সব দোকান-পাট বন্ধ হয়ে গেলে বন্ধ দোকানের সামনে খোলা রাস্তায় ঘুমিয়ে পড়তেন।
একদিন এক সহৃদয় ব্যক্তি তাকে কিছু খাবার দিলেন এবং তার দোকানে কাজের প্রস্তাব দিলেন। তাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আম সরবরাহ করতে বলা হলো।
অল্প কিছুদিন পরেই তিনি একটি ছোট্ট কোম্পানিতে চা বিক্রি শুরু করলেন। ১৯৯০ সালে তিনি একটি সফটওয়্যার কোম্পানি এবং একটি বড় শোরুমে চা বিক্রি শুরু করেন। সেখানে প্রচুর লোকের কাছে চা বিক্রি করা যেত। সে সময় তিনি উপার্জিত অর্থ থেকে কিছুটা সঞ্চয় করতে থাকেন।
বিয়ের পরই তার ভাগ্য বদলাতে শুরু করে। তিনি এবং তার স্ত্রী বাড়ি করার জন্য একটি জমি কেনেন। কিন্তু ওই জমি দ্বিগুণ দামে বিক্রি করে দেয়ার জন্য এক লোক তাকে প্রস্তাব দেয়। তিনি জমিটি তার কাছে দ্বিগুণ লাভে বিক্রি করে দেন।
অনিল কুমার বলেন, এটাই আমাকে রিয়েল ইস্টেট ব্যবসার সঙ্গে পরিচয় করায়। এরপর থেকেই আমি একের পর এক জমি কেনাবেচা করতে লাগলাম। এই রিয়েল ইস্টেটের ব্যবসার কারণেই আমি ছয় বছরের মাথায় কোটিপতি হয়েছি।
আট বছর আগে তিনি বোমানাহাল্লিতে এম জে ইনফ্রাস্ট্রাকচার নামের একটি কোম্পানি খোলেন। নিজের উপার্জিত অর্থ থেকে তিনি একটি গির্জা এবং একটি মন্দির বানাবেন বলে নিজের ইচ্ছার কথা জানান। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী সতীশ রেড্ডির দখলে থাকা আসনের জন্য লড়াই করবেন অনিল। নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি। এ জন্য তিনি জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন।