পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের সড়কটির এখন বেহাল দশা। একটু বৃষ্টিতে যেমন পানি জমে থাকছে তেমনি খানাখন্দে ভরা এই সড়কে অন্য সময়ও যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গত কয়েক বছর থেকে সড়কটির এমন বেহাল অবস্থা থাকলেও এটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগ।
জানা যায়, পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়, বন বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড, সিআইডি অফিস, ডিবি পুলিশের কার্যালয়, রুপালী ব্যাংকের নিউ টাউন শাখা, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, কাজী আবুল কাসেম স্টেডিয়ামসহ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা জজ আদালতে যেতেও এই সড়কটি ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে সড়কের পাশে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টিতেই সড়কটি ডুবে যায়। ফলে কার্পেটিং উঠে সড়কটি এখন একেবারে ব্যবহারের অনুপযোগী।
পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, এই সড়কের কারণে সেবা নিতে আশা মানুষদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এখন যে অবস্থা তাতে পায়ে হেঁটে কার্যালয়ে প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই, অফিসের সামনে হাঁটুপানি। আবার শুষ্ক মৌসুমে সড়কের বড় বড় গর্তগুলোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কটি সংস্কারে গণপূর্ত বিভাগকে আমরা বেশ কয়েকবার অনুরোধ করলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ জানান, গণপূর্ত বিভাগের অধিকাংশ সড়কই পটুয়াখালী পৌরসভা সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করছে। এ কারণে এই সড়কগুলো গণপূর্ত বিভাগ সংস্কারে উদ্যোগ নিচ্ছে না। তবে আমরা যতটুকু জানি পটুয়াখালী পৌরসভা এই সড়কটি সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছে।
পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জাসিম উদ্দিন আরজু জানান, গুরুত্ব বিবেচনায় পটুয়াখালী পৌরসভার পক্ষ থেকে সড়কটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় শহর জলবায়ু সহিষ্ণু প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে। এতে ১৮ ফুট প্রশস্ত সড়কের পাশাপাশি সড়কের দুই পাশেই ওয়াকওয়ে এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া সড়কবাতি স্থাপন করা হবে। এরইমধ্যে সড়কের ডিজাইন এবং প্রাক্কলন সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই সড়কের নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে।