সাধারণ ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা পাঁচ দিন বন্ধ ছিল বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো। বুধবার (২৪ জুলাই) ব্যাংক খোলার পরপরই নগদ টাকার চাহিদা বেড়েছে। ফলে, এক দিনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ধার নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। এর মধ্যে ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি নিয়েছে সাধারণ ব্যাংকগুলো। শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলো ধার নিয়েছে ১ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এসব তথ্য জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ব্যাংকিং কার্যক্রম চলার পর ওইদিন রাত থেকে সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। শনিবার (২০ জুলাই) রাতে দেশে কারফিউ জারি করার পর প্রথমে দুই দিন এবং পরে এক দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সাধারণ ছুটি চলাকালে ব্যাংক বন্ধ ছিল। এর আগে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। টানা পাঁচ দিন পর বুধবার সীমিত পরিসরে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে। ব্যাংক খোলার পর পরই নগদ টাকার চাহিদা বেড়েছে। নগদ টাকার জন্য গ্রাহকরা ব্যাংকের শাখাগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার নিয়েছে।
ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টানা ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে গেছে। ব্যাংক শাখার পাশাপাশি এটিএমগুলোতেও টাকা রাখতে হচ্ছে। ফলে, ব্যাংকগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি নগদ টাকার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বুধবার (২৪ জুলাই) বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো, অ্যাসিউরড রেপো, অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) এবং শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির (আইবিএলএফ) নিলাম হয়। এই নিলামে ৭ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১৪টি ব্যাংক ও ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৭ কোটি টাকা, ১৪ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ৯টি ব্যাংককে ২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, ২৮ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১২টি ব্যাংক ও ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়।
এছাড়া, বুধবার ১৮০ দিন মেয়াদি অ্যাসিউরড রেপো আওতায় ৩টি ব্যাংককে ৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা এবং ১ দিন মেয়াদি অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্টের আওতায় ১১টি প্রাইমারি ডিলার ব্যাংককে ৩ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ১৪ দিন মেয়াদি ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় ১টি ব্যাংককে ৪৯৭ কোটি টাকা ও ২৮ দিন মেয়াদে ৫টি ইসলামি ধারার ব্যাংককে ৯৮৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে বুধবারে ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ৭ দিন মেয়াদে টাকা ধারের সুদহার ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, ১৪ দিন মেয়াদে সুদহার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ও ২৮ দিন মেয়াদি টাকা ধারের সুদহার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অ্যাসিউরড রেপো ও অ্যাসিউরড লিকুইডিটির সুদহার সাড়ে ৮ শতাংশ। ইসলামি ধারার ব্যাংকের জন্য মুনাফার হার ছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। ২৮ দিন মেয়াদে ইসলামি ধারার ব্যাংকের জন্য মুনাফার হার ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com