উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকার টানাপোড়েন আর দুই দেশের বিষয় নেই, হয়ে উঠেছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি রক্ষার লড়াই। তা যে কোথায় শেষ হবে, কারও জানা নেই।

এক দশক আগে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সময়েও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকার টানাপোড়েন চলেছিল। তবু উত্তর কোরিয়াকে কালো তালিকাভুক্ত দেশের বাইরে রেখেছিলেন তিনি।

কূটনৈতিক চাপ দিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের সাথে সমঝোতার পথ বেচে নিয়েছিলেন জুনিয়র বুশ। ট্রাম্প সে সবের তোয়াক্কা করছেন না। এক দশক পরে আবার উত্তর কোরিয়াকে কালো তালিকায় রেখেছে আমেরিকা।

ট্রাম্পের যুক্তি পরিষ্কার। উত্তর কোরিয়াকে কূটনৈতিকভাবে চাপে রেখে লাভ হয়নি। আপন মনে তারা পরমাণু অস্ত্র সম্ভার সমৃদ্ধ করেছে। তাদের হাইড্রোজেন বোমা আছড়ে পড়তে পারে মার্কিন নিয়ন্ত্রণাধীন গুয়াম দ্বীপে।

সেই হুমকি দিয়ে রেখেছে পিয়ংইয়ং। এবার সময় হয়েছে, তাদের সমঝে দেওয়ার। এতেও কী কাজ হবে?‌

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতেও কাজ হওয়ার নয়। কিম জং উন কিছুরই তোয়াক্কা করবেন না। বরং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে তিনি পরমাণু কর্মসূচিতে আরও গতি আনবেন।