এক দফা এক দাবীতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বারকলিপি প্রদান

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

শামীম আহমেদ ॥ এক দফা এক দাবী ভিসি তুই কবে যাবি। ভিসি’র পদত্যাগ ছাড়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি নাই এই শ্লোগান নিয়ে আন্দোলনের সপ্তম দিনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এস এম ইমামুল হকের পদত্যাগ দাবী করে বিভিন্ন ব্যানার প্লাকার্ড ফেস্টুন নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে।
আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভিসি পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশনসহ কঠোর আন্দোলনের ঘোষনা দিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক দপ্তদরের প্রবেশ পথের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাস্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর ভিসির বিরুদ্ধে আনা ২৫টি অভিযোগ সম্বিলিত স্বারকলিপির প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।

আজ (১লা এপ্রিল) সোমবার সকালে সপ্তমদিনে প্রতিদিনের ন্যায় তারা বিশ্বক্ষদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে।পরে তারা বেলা সাড়ে বারটায় নগরীর জেলা প্রশাসকের দপ্তর সামনের সড়কে বসে অবস্থান নিয়ে ভিসির পদত্যাগ দাবী করে বিভিন্ন শ্লোগান দেওয়া সহ গন স্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করে।

বেলা সোয়া একটায় জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান তার দপ্তর কক্ষ থেকে নিছে নেমে আসলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের নিকট ভিসির বিরুদ্ধে স্বৈরাতান্ত্রিক অত্যাচারে জর্জরিত তার প্রতিটি পদক্ষেপ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও ছাত্র স্বার্থের পরিপন্থি।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মিনি ক্যান্টনমেন্ট পরিণত করেছে। তারা স্বারকলিপিতে আরো অভিযোগ করেন গত তিন বছর যাবত ভিসি জাতীয় দিবসগুলোতে ছাত্রদের সংযুক্তি ছাড়াই ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী আয়োজন করে আসছে। এছাড়া তার দায়ীত্ব পালনকালীন সময়ে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের উপর নিস্পেষন, নির্যাতন স্টিম রোলার চালিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলেছেন দূর্নীতির আতুড়ঘড়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার করছেন তার স্বার্থ রক্ষা করাসহ ভিসির বিরোদ্ধে এধরনের ২৫টি অভিযোগ এনে রাস্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বারকলিপি প্রদান করেন।

এসময় জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে বরিশালের সুশিল সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেনী মানুষের সমর্থন রয়েছে।শিক্ষার্থী তোমরা যারা রয়েছো এমন কিছু করবে না যাতে করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।
আমরা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বরিশাল সিটি মেয়রসহ এ বিষয়ে আমরা তোমাদেরকে একটি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য কাজ করার আশ্বাস প্রদান করে।

এসময় আন্দোলনরত গনিত বিভাগের ফাইনাল ইয়ার শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভিসি পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরণ অনশন কর্মসূচিসহ কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এছাড়াও তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত তিনদিন যাবত ডাইনিং বন্ধ করে দেয়ার কারনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থানে বসে কেউ খেতে পারছে আবার অনেকে না খেয়ে আছেন এত করে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রতিবাদ করায় ভিসি ড. এসএম ইমামুল হক শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দেন। এর প্রতিবাদে গত ২৬ মার্চ থেকে শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন শুরু করেন। এরই মধ্যে ২৮ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিলেও আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। ঘটনার ধারবাহিকতায় শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে দুঃখ প্রকাশ করে ভিসি ড. এসএম ইমানুল হকের পক্ষে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে দুঃখ প্রকাশ করে ভিসির দেওয়া বক্তব্য ও আহবান প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ভিসি তার বক্তব্যের মাধ্যমে মিথ্যাচার করেছেন বলেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।

করোনা ভাইরাসজাতীয়প্রচ্ছদবরিশাল এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago