নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক ট্রলারেই ধরা পড়েছে ১১৭ মণ ইলিশ। পরে মাছগুলো নিলামে ১৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকালে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিংয়ে এসব ইলিশ বিক্রি করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরে এফবি রায়হান নামের ট্রলারটি।
মেঘনা ফিশিংয়ের ম্যানেজার মো. হাবিব ভূঁইয়া বলেন, ‘এফবি রায়হান বোটের মালিকের বাড়ি ভোলা জেলায়। তিনি মুঠোফোনে মাছ পাওয়ার খবর জানালে চেয়ারম্যান ঘাটে নিয়ে আসতে বলি। পরে ওজন দিয়ে দেখি ১১৭ মণ ইলিশ। যা নিলামে ১৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।’
এফবি রায়হান ট্রলারের সারেং সফিক মাঝি বলেন, ‘গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলাম মাছ ধরতে। আমরা মোবাইলে যোগাযোগ করে মেঘনা ফিশিংয়ে মাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই। ইলিশগুলো আকারে বড় ছিল, দামও পেয়েছি।’
চেয়ারম্যান ঘাটে কাজ করা রাকিব নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এতদিন নিষেধাজ্ঞা ছিল, তাই সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারেনি জেলেরা। আমাদেরও কাজ ছিল না। আমরা এখানে ৬৫ জন লোক আছি, মাছ টানার কাজ করি। এখন মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তাই আয়ও ভালো হচ্ছে।’
হাতিয়া মৎস্য সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল বলেন, ‘সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে অনেক মাছ ধরা পড়ছে। আগে, এই উপকূলে মাছ শিকারে গেলে ডাকাতের কবলে পড়তে হতো। তবে বর্তমানে ডাকাত নেই। জেলেরা নির্বিঘ্নে মাছ ধরতে পারছে।’
হাতিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আখতার হোসেন বলেন, ‘আজ ১১৭ মণ ইলিশ বিক্রি হলো। এর আগে, ১১০ মণ, ১০২ মণ ইলিশ পেয়েছে জেলেরা। প্রতিনিয়ত সমুদ্রে যাওয়া বোটগুলো ঘাটে আসছে। নিষেধাজ্ঞার পর একসঙ্গে এত মাছ পেয়ে জেলেরা যেমন খুশি, ব্যবসায়ীরাও খুশি।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় জেলেরা উপকৃত হচ্ছেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে নদী ও সাগরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তার বেড়েছে।’