এক ঝড়েই ভেঙে পড়ল রাসিকের ৫৯ সড়কবাতি

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখীতে উল্টে গেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রজাপতির ডানার মতো দেখতে আধুনিক সড়কবাতি। ঝড়ের তোড়ে নগরীর বিলশিমলা-কাশিয়াডাঙ্গা সড়কের ৫৯টি সড়কবাতি একেবারেই উপড়ে পড়েছে। ১৭৪টি সড়কবাতির বেশিরভাগই হেলে পড়েছে।

রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টার পর থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী থেমে থেমে এই ঝড় বয়ে গেছে। তবে সড়কবাতির পোলগুলো সড়ক বিভাজকের ওপরে পড়ায় কেউ হতাহত হননি।

নগরীর নান্দনিকতা বাড়াতে প্রথমবারের মতো চীন থেকে আনা দৃষ্টিনন্দন এই সড়কবাতি সংযোজন করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থেকে বিলশিমলা রেলক্রসিং পর্যন্ত চার দশমিক ২ কিলোমিটার সড়কে বসানো হয় ১৭৪টি দৃষ্টিনন্দন বৈদ্যুতিক পোল। প্রতিটি পোল প্রজাপতির মতো ডান মেলে রয়েছে সড়ক বিভাজকে। দুই ডানায় রয়েছে দুটি করে এলইডি বাল্ব।

দৃষ্টিনন্দন বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এ বাতিগুলো অটোলজিক কন্ট্রোলারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন-অফ হয়। চীন থেকে আনা এই বাতিগুলো সরবরাহ করে ‘হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিং’। কেবল সড়কের এই আলোকায়নেই রাসিকের খরচা ৫ কোটি ২২ লাখ টাকা।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এই বাতি উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর থেকেই এই সড়কটি ‘প্রজাপতি সড়ক’ নামেই পরিচিতি পায় নগরবাসীর কাছে।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণত্রুটি ও অনিয়মের কারণেই এই বিপর্যয় ঘটেছে। তবে এটি ‘নিছকই দুর্ঘটনা’ বলে দাবি করেছেন রাসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও যান্ত্রিক) রেয়াজাত হোসেন রিটু। তিনি বলেন, ‘ঝড়ের কারণে খুঁটিগুলো হেলে পড়েছে। কিছু উপড়ে পড়েছে। আমাদের ওয়ারেন্টির সময় আছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজ দায়িত্বে আবার সব ঠিক করে দেবে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল হুদা টিটো বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। আমাদের এক বছরের ওয়ারেন্টির মেয়াদ আছে। প্রয়োজনে পাঁচ বছর দেব। আর ক্ষতিগ্রস্ত খুঁটিগুলো রাতের মধ্যেই ঠিক করে দেয়া হবে।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এই বাতি উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর থেকেই এই সড়কটি ‘প্রজাপতি সড়ক’ নামেই পরিচিতি পায় নগরবাসীর কাছে।