এক ঘণ্টা দেরি হওয়ায় নিপুনের ভর্তি নিলো না যবিপ্রবি

:
: ২ years ago

যথাসময়ে উপস্থিত হতে না পারায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ভর্তি হতে পারলেন না একজন শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম নিপুন বিশ্বাস। তার বাড়ি নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নে। তার বাবা প্রেমানন্দ বিশ্বাস পেশায় একজন নরসুন্দর।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় যবিপ্রবির স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে ২০২০-২১ সেশনে তৃতীয়বারের মতো ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে উপস্থিত হতে না পারায় ভর্তি হতে পারেননি নিপুন বিশ্বাস। তিনি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান ততক্ষণে বেজে যায় ১২টা ৮ মিনিট। ১৫ হাজার টাকায় মাইক্রোবাস ভাড়া করে ক্যাম্পাসে আসেন তিনি।

তিনি যখন গাড়িতে ছিলেন তখন এক বড় ভাইকে ফোন করে বলেন, তার ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে দেরি হবে। ক্যাম্পাসের ওই বড় ভাই বিষয়টি ডিনকে জানান। নিপুন যখন ক্যাম্পাসে পৌঁছান তখন জানতে পারেন মেরিট লিস্টে তিনি প্রথমে থাকলেও তৃতীয় সিরিয়ালে থাকা এক শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। এরপর অনেক অনুনয়-বিনয় করেও ভর্তি হতে পারেননি নিপুন।

নিপুন বলেন, ‘আমি কাজ করে হলেও এই টাকা (ধার করা ২৩ হাজার টাকা) জোগাড় করতে পারবো কিন্তু বাবা-মাকে আমি কী জবাব দেবো? আমার বাসা দূরে হওয়ায় সময় মতো পৌঁছাতে পারিনি। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ওয়েটিং লিস্টে থাকায় আমি মেসেজ পেয়েছি কিন্তু এখানকার প্রশাসন কোনো মেসেজ দেয়নি। আমাকে যদি আগে থেকে মেসেজ দেওয়া হতো অথবা নোটিশের পরদিনই সময় না দিয়ে একটা দিন পরে দেওয়া হতো তাহলে আমি সঠিক সময়ে এসে ভর্তি হতে পারতাম।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো মেসেজ বা কল না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি টেকনিক্যাল কমিটির দায়িত্ব।’

এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিবের সঙ্গে মোবাইলে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে কথা বলতে রাজি হননি।