এক্স-রেতে দেখা গেল, সোনার বার বের হলো

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

যশোরের বেনাপোলে ভারতগামী এক যাত্রীর পেটে সোনার আটটি বার পাওয়া গেছে। বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আজ মঙ্গলবার সকালে বেনাপোল স্থলবন্দরের অভিবাসন বিভাগ থেকে ওই পাচারকারীকে আটক করেন। ওই যাত্রীর পেট এক্স-রে করে সোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে পেট থেকে ৭৯৮ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়।

আটক করা ওই যাত্রী মাসুদুর রহমান (৫০)। তিনি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার চান্দেরচর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।

বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিপুণ চাকমা জানান, সোনার বারগুলো ভারতে পাচার হচ্ছিল। সকালে মাসুদুর রহমান নামের ওই যাত্রী ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে বেনাপোল স্থলবন্দরের আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে আসেন। কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তিনি। সাড়ে আটটার দিকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে আটক করা হয়। কিন্তু তিনি এ সময় তাঁর পেটে সোনা থাকার কথা অস্বীকার করেন। এরপর তাঁর পেটের এক্স-রে করে সোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে তিনি সোনার কথা স্বীকার করেন। এরপর সকাল নয়টার দিকে শৌচাগারে গিয়ে তিনি পায়ুপথ দিয়ে একে একে তিনটি প্যাকেট বের করে আনেন। প্যাকেটের মধ্যে আটটি সোনার বার ছিল। প্যাকেটগুলো স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। উদ্ধার করা সোনার পরিমাণ ৭৯৮ গ্রাম।

নিপুণ চাকমা বলেন, আটক মাসুদুর রহমানকে চোরাচালানের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বেনাপোল বন্দর থানায় মামলা হয়েছে। তাঁকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। জব্দ করা সোনা বেনাপোল কাস্টমস গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে।