ভোটে অনিয়ম বা যে কোনও কারণে নির্বাচন চলাকালে যে কোনও মুহূর্তে এক বা একাধিক কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত/বাতিল করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। এই ক্ষমতা দিয়ে একটি আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল বা স্থগিত করার কথা এই আইনে উল্লেখ নেই।
এমন ক্ষমতা দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যদি কারও ব্যাংকের পাওনা থাকে বা ঋণ পরিশোধের অসুবিধা থাকে কিংবা কোনও বিল পরিশোধের প্রসঙ্গ থাকে তাহলে মনোনয়নপত্র গ্রহণের সাত দিন আগে ক্লিয়ার হওয়ার কথা ছিল। এখন আইনটি করা হয়েছে যে, দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত তার বিল পরিশোধ হয় বা ঋণ পরিশোধ হয়, তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন তার টিআইএন এবং ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিয়েছেন, তার কপি জমা দিতে হবে। একমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ছাড়া সব নির্বাচনে এই প্রবিশন আছে। আমাদের সংসদ নির্বাচনে এটি ছিল না, সেটি এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর কেউ রিজেক্ট (বাতিল) হলে তিনি তখন আপিল করতে পারতেন। এখন শুধু রিজেক্ট না, রিটার্নিং অফিসার যে সিদ্ধান্তই দেন, যদি গ্রহণও করেন- তাহলে আপিল করা যাবে। তার যে কোনও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। উপযুক্ত কাগজপত্র ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ দাখিল করে এই আপিল করা যাবে।
এর আগে, গত ২৮ মার্চ আইনটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।