সতীর্থদের ব্যর্থতার মিছিলে একটা প্রান্তে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন জনি বেয়ারস্টো। বলতে গেলে একাই ইংল্যান্ডকে টেনে নিচ্ছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
তার হার না মানা সেঞ্চুরিতে ভর করে অ্যান্টিগা টেস্টে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে ৬ উইকেটে ২৬৮ রান তুলেছে সফরকারীরা।
নর্থ সাউন্ডের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়াই যেন ভুল হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের। ক্যারিবীয় পেসারদের তোপে রীতিমত ধুঁকতে থাকে জো রুটের দল।
১৭ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে দুই ওপেনার অভিষিক্ত অ্যালেক্স লিস (৪) আর জ্যাক ক্রলিকে (৮)। আর ১০ রান পর অধিনায়ক জো রুটও সাজঘরের পথ ধরলে চরম সংকটে পড়ে ইংলিশরা।
উইকেটে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন ড্যান লরেন্স। তিনিও ফেরেন ২০ করে। ৪৮ রানে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে বেন স্টোকসকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৬৭ রানের জুটিতে বিপদ কিছুটা কাটিয়ে উঠেছিলেন বেয়ারস্টো।
কিন্তু স্টোকস ৩৬ করে সিলসের বলে বোল্ড হয়ে গেলে অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে সফরকারীরা। তবু হার মানেননি বেয়ারস্টো। ষষ্ঠ উইকেটে বেন ফোকসকে নিয়ে ৯৯ রানের আরেকটি জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ান দারুণভাবে।
বেন ফোকস দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন। কিন্তু হাফসেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি। ব্যক্তিগত ৪২ রানে জেসন হোল্ডারের এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন। তবে সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি বেয়ারস্টো।
দিনের বাকি সময়টা ক্রিস ওকসকে নিয়ে দেখেশুনেই কাটিয়ে দিয়েছেন বেয়ারস্টো। ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে ১০৯ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। ওকস আছেন ২৪ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তিন পেসার কেমার রোচ, জেইডেন সিলস আর জেসন হোল্ডার।