একবেলা খেয়ে দুইবেলা উপ্যেস থাকা “অন্ধ কাচেনি বালার” সরকারি ঘরের আকুতি

:
: ৭ মাস আগে

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী গ্রামের হতদরিদ্র ও দিনমজুর বাঠুল বর্মণ ও মৃত সুমিত্রা বালার তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট আদরের সন্তান শ্রীমতী কাচেনি বালা।

বর্তমানে তার বয়স ৩৩বছর। কাচেনি বালার বসয় যখন ৫বছর তখন টাইফোয়েড রোগে আক্রান্ত হয়ে তার দুই চোখ অন্ধ হয়ে যায়। মায়ের আদর আর দাদীর ভালোবাসায় ১৮বছর জীবন কেটে যায় তার।

হঠাৎ এক বছরের মাথায় মা সুমিত্রা বালা এরপর দাদীমা চান তারা মারা যায়। পরে তার বাবা বাঠুল বর্মণ দ্বিতীয় বিয়ে করলে সে পরিবারেও এক কন্যা এক পুত্র রয়েছে। বাবা ভাই বোন দীর্ঘ ১৬বছর থেকে কেউ খোজ-খবর রাখেনা কাচেনি বালার।

এদিকে দুই চোখ অন্ধ কাচেনি বালা প্রতিবন্ধীর ভাতা ও স্থানীয়দের সহায়তায় ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দীর্ঘ ১৬বছর থেকে খেউড়ি ভাঙ্গা ঘরে কখনো এক বেলা কখন আধা বেলা খেয়ে জীবন কাটাচ্ছেন।

কাচেনির দুচোখ অন্ধ হওয়ার কারনে বিয়েও হয়নি যদিও বয়স ৩৩ পেরিয়ে।অন্ধ কাচেনি বালা’ দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারকে জানান,বর্তমানে যে ঘরটাত থাকোং রাইতোত অনেক ভয়ে ঘুম আসানাগে’ অন্যের কাছোত চায়া খুজি কিছু খড়ি আনি কোনো মতে বেড়া দিছোং তাও বাইয়ে থ্যাকি সবকিছু দেখা যায়।

আগের চেয়ারম্যান একটা প্রতিবন্ধী ভাতা করি দিছে সেটা ছাড়া আর কিছুই পাংনা, এবং কেঁদে বলেন সরকার যদি মোর চোখ দুইটা ভালো করি দেয়, আর একটা ঘরের ব্যবস্থা করি দেয়।

চোখ দুইটা যদি ভালহয় তখন মাইনসের বাড়িত কাজ কাম করি জীবনটা বাচাবার প্যাইম।মাঝে মধ্যে দুইদিন একদিন উপ্যোস থাকা লাগে চাউল নাই টাকাও নাই কি আনোং কি খাং ,সে আরো জানায় পূর্বের চেয়ারম্যানের কাছে গেছিলুং দূর-দূর করি ফিরি দিছে , বর্তমান চেয়ারম্যানের (নুরুজ্জামান সরকার) বাড়ি মুইং চেনোংনা অনেক দূর বাড়ী সে জন্য যাং নাই,আমার মেম্বারের কাছোতও গেছিলুং মেম্বারো কোন ধরনের সহযোগীতা করে নাই, আর কুডি যাইম মোর কপালে মন্দ, সে ভরসা সরকারের উপর।

ঐ এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান মিলন জানান কাচেনির দুটি চোখ অন্ধ হওয়ার জন্য কোথাও কাজ করতে যেতে পারে না অনেক কষ্টে মেয়েটা জীবনযাপন করছে, আমরা তার প্রতিবেশি হিসেবে সরকারের কাছে আবেদন করি তিনি যেন কাচেনির চোখ দুটি ভালোকরার ব্যবস্থা করে এবং তাকে একটি ঘর দেয় সেইসাথে স্থায়ী একটা সামাধান হয়।

এবং ঐ এলাকার আব্দুস সালাম জানান, সে অন্ধ হওয়ার কারনে কাজকাম করতে পারে না,সে যে ভাতা পায় সেটা দিয়ে কি জীবন বাঁচে’, তার ঘর দিয়ে সিয়াল ঢুকতে পারে আবার বাড়াইতে

পারে,বর্তমানে চোখদুটি ভালকরাসহ কাচেনির একটা ঘরের প্রয়োজন। পার্শবর্তী এলাকার সেলিম জানান আমি ছোট থেকেই দেখতেছি কাচেনি মেয়েটা অনেক অসহায় এবং দুচোখ অন্ধ, অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছে সরকারি সহযোগিতা করা দরকার ।

এদিকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক (মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ)কে অন্ধ কাচেনি বালার বিষয়ে বললে, তিনি কাচেনি বালার সকল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।