করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৫৪ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৯ জন ও নারী ১৫ জন। ৫৪ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১০ জন এবং বাসায় চারজন মারা যান। এ নিয়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ হাজার ১৭২ জনে।
এই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৫০ জন। যা দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আক্রান্তের সংখ্যা মোট বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট লাখ ২৯ হাজার ৯৭২।
এর আগে রোববার (১৩ জুন) ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয় ৪৭ জনের। একই সময়ে নতুন শনাক্ত হয়েছিল দুই হাজার ৪৩৬। সেই হিসাবে আজ এক লাফে ৬১৪ জন রোগী বেশি শনাক্ত হয়েছেন।
সোমবার (১৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৫১২টি ল্যাবরেটরিতে ২১ হাজার ৯১৪টি নমুনা সংগ্রহ ও ২০ হাজার ৬০২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬১ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৪টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই হাজার ৫৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ৬৮ হাজার ৮৩০। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ৫৪ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব পাঁচজন, চল্লিশোর্ধ্ব ছয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৪ জন এবং ষাটোর্র্ধ্ব ২৭ জন রয়েছেন।
এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রামে ১৪ জন, রাজশাহীতে ১৩ জন, খুলনায় সাতজন, বরিশালে একজন, রংপুর পাঁচচজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।