একদিনে ২০০ গরু বিক্রি করলেন এমপি সেলিম ওসমান

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

একেএম সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার পাশাপাশি নিট গার্মেন্ট ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ’র সভাপতি।

নিজের রফতানিমুখী নিট গার্মেন্ট উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যবসায়ী মহলে তিনি একজন শিল্পপতি এবং নিটপণ্য রফতানিকারক হিসেবে পরিচিত।

এর বাইরেও সেলিম ওসমানের একটি পরিচয় আছে। সেটি হলো- তিনি সফল কৃষক। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে গরু, ছাগল, ভেড়া এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও সবজি চাষাবাদ করছেন তিনি।

বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নিজেকে কৃষক বলে পরিচয় দেন জাতীয় পার্টির এই এমপি। এবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইতোমধ্যে তার মালিকানাধীন নিট গার্মেন্ট ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরই ফাঁকে রোববার সকালে নিজের কৃষি খামারে চলে যান সেলিম ওসমান। ঘুরে ঘুরে দেখেন নিজের পুরো খামার।

দুপুর থেকে শুরু করেন গরু বিক্রি। নিজের খামারের ২০০টি গরু বিক্রি করেন তিনি। বলতে গেলে প্রায় ৩ কোটি টাকার গরু বিক্রি করেন সেলিম ওসমান। প্রতিটি গরু ওজনে সর্বনিম্ন ৬ মণ থেকে ১১ মণ পর্যন্ত। ওজনের ৫৫ শতাংশ মাংস হিসাবে ৫০০ টাকা কেজি দরে এসব গরু বিক্রি করা হয়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে নিজস্ব ফার্মে এসব গরু পালন করে কোরবানি দেয়ার উপযুক্ত করে তোলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরে এমপি সেলিম ওসমানের মালিকানাধীন উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেডের অভ্যন্তরে থ্রি স্টার ফার্ম হাউস নামে একটি ডেইরি ফার্ম রয়েছে। এছাড়া খুলনার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহি গ্রামে প্রায় ৩০ একর জমি নিয়ে ফাইভ স্টার ফার্ম নামে একটি ফার্ম হাউস রয়েছে তার।

ডেইরি ফার্মে প্রায় ৭০০ গরু, ৬০০ ছাগল, ৪০০ ভেড়া এবং বিভিন্ন প্রজাতির ২ লাখ ৫০ হাজার মাছ দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে চাষ করে আসছেন সেলিম ওসমান। এছাড়া আম, কাঁঠাল, জাম, নারিকেলসহ সব ধরনের ফল এবং ধান, গম থেকে শুরু করে সব ধরনের সবজি চাষাবাদ করেন তিনি।

৩ কোটি টাকার গরু বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি সেলিম ওসমান জানান, কৃষিখাত থেকে বছরে যে অর্থ উপার্জিত হয় তার সম্পূর্ণটাই সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেন তিনি।

বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, অসহায় মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা, ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতা তার কৃষিখাত থেকে উপার্জিত অর্থ থেকে দেয়া হয়।

সেলিম ওসমান বলেন, বন্দরের কারো এক টুকরা জমিও যেন অনাবাদি পড়ে না থাকে। যাদের বাড়িতে জায়গা আছে তারা যেন অন্তত একটি গরু অথবা একটি ছাগল কিংবা হাঁস-মুরগি পালন করেন। সেইসঙ্গে বাড়ির চারপাশে গাছ লাগাবেন সবাই। কারণ আজকের বাড়ির পাশের চারা গাছ আগামী দিনে সম্পদে পরিণত হবে। এতে উপকৃত হবে সবাই।