একজন ফিরোজী ও শতাধিক এতিম শিশুর গল্প

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

নাম তার নুরুল ইসলাম ফিরোজী বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায়। পিতা মরহুম কারী মাওলানা আব্দুল মালেক হাওলাদার ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট ধর্মানুরাগী ও ইসলামী চিন্তাবিদ। যৌবন কালটা কেটেছে বরিশাল নগরীর চাঁদমারি মাদ্রাসা ও এতিমখানার সেবা করে। পরবর্তীতে এতিম শিশুদের আরো সেবা করার উদ্দেশ্যে সদর উপজেলার কর্নকাঠী তে গড়ে তুলেন একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানা যার জমি জমি দান করেছিলেন স্থানীয় এক হিন্দু ব্যক্তি। কিন্তু ওই জমি নিয়ে স্থানীয় একটি চক্রের সাথে দ্বন্দ থাকায় তারা মাদ্রাসা উচ্ছেদ করে নুরুল ইসলাম ফিরোজী কে হত্যার উদ্দেশ্যে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়।

কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে প্রবাদ বাক্যটির মতো স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি গোঙ্গানির শব্দ শুনে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে শেবাচিমে প্রেরন করলে এ যাত্রা বেঁচে যান নুরুল ইসলাম। পরবর্তীতে রাজাপুরে অবস্থিত বাড়িঘর বিক্রি করে ৪ বছর পূর্বে বরিশাল নগরীর ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুরের ৭ নং গলির কালভার্ট এর কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে গড়ে তোলেন রহমানিয়া কেরাতুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রসা ও এতিমখানা। কোন ধরনের সরকারি বেসরকারি অনুমোদন ছাড়াই ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে মাদ্রাসার পরিষর।

দিনরাত পরিশ্রম করে লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করে পরিচালনা করতে থাকেন এতিমখানাটি। গতবছর ওই মাদ্রাসার পাশাপাশি একই ওয়ার্ডে মোহাম্মদপুরে মায়ের নামে গড়ে তুলেন একটি মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলে দক্ষিণ বাংলার রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মোঃ ইউনুস মাদ্রাসাটি পরিদর্শন করেন এবং জেলা পরিষদের মাধ্যমে ১৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করলেও বর্তমানে সম্পূর্ণ টাকা ছাড় না হওয়ায় বন্ধ রয়েছে ভবন নির্মাণের কাজ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম ফিরোজী বলেন, এতিম শিশুরা আমার প্রাণ। আমি আগে ওদের খাওয়াই তারপর নিজে খাই। আপনারা দোয়া করবেন আমি যেন মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এতিম শিশুদের সেবা করতে পারি।