প্রথমে রোগীর হৃদযন্ত্র বিকল করার জন্য শরীরে বিষ প্রয়োগ করত। এরপর রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে তাকে বাঁচানোর ‘আপ্রাণ প্রয়াস’ করা হত।
তাতে যদি রোগী সুস্থ হয়ে যেত, সাফল্যের পুরো ‘ক্রেডিট’টাই নিত নার্স। আর সুস্থ না হলে বা রোগীটি মারা গেলে কান্নায় ভেঙে পড়ত চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা নার্স।
এইভাবেই ১০৬ জন রোগীকে খুন করার অভিযোগ উঠল জার্মানির এক নার্সের বিরুদ্ধে।
১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে জার্মানির ডেলমেনহর্স্ট হাসপাতাল-সহ দুটি হাসপাতালে কাজ করেছে নিয়েলস হেজেল নামের ওই নার্স। ২০০৫ সালে এক রোগীর শরীরে বিষ ওষুধ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করার সময়েই অন্য এক নার্সের হাতে ধরা পড়ে যায় নিয়েলস। তখনই ফাঁস হয়ে যায় তার সব কীর্তি। ওই রোগী বেঁচে যায়, নিয়েলেসকে পাঠানো হয় জেলে।
আর তারপরই তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। জানা যায়, এই কয়েক বছরে একই পদ্ধতিতে নিয়েলেস প্রায় ৯০ রোগীকে খুন করেছে।
নিয়েলসের দ্বারা শরীরে বিষ ঢোকায় এরপরও আরও ১৬ জন রোগীর মৃত্যু হয়।
নিয়েলেস জানিয়েছে, কাজের একঘেঁয়েমি কাটাতেই নাকি সে একাজ করে এসেছে। আপাতত জেলে ঠাঁই হয়েছে নিয়েলেস। পুরো ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে হতভম্ভ হয়ে গেছেন তদন্তকারীরা।