গত রাতে ইরাকে দুটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সম্পর্কে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের ‘মুখে চপেটাঘাত’। বাগদাদে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত জেনারেল সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছিলেন খামেনি।
মঙ্গলবারের হামলার পর খামেনি বলেন, ‘গত রাতে আমরা তাদের মুখে চপেটাঘাত করেছি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গোটা অঞ্চলে মার্কিন সেনা উপস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে। তারা এ অঞ্চলে যুদ্ধ, বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে এসেছে। বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো ধ্বংস করে দিচ্ছে।’
ইরাক সরকার মার্কিন সেনাদের বহিষ্কারের বিষয়ে সংসদে যে বিল পাস করেছে তার প্রশংসা করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইরানের সংসদও মার্কিন বাহিনীকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ভালো কাজ করেছে। সোলেইমানির জানাজার সময় তার নিজ গ্রাম কেরমানে যে ৫৬ জন নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।
হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে খামেনি বলেন, ‘আমি এর জন্য খুবই দুঃখিত, আমি এর জন্য খুবই মর্মাহত। আমি নিহতদের পরিবারের জন্য গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি মনে করি তাদের এই উদ্যম, আত্মত্যাগ এবং তাদের আত্মা সোলেইমানির আত্মার সঙ্গে মিলিত হবে।’
ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৮০ ‘মার্কিন সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন। তবে ইরানের হামলায় হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের আইন আল আসাদ এবং কুর্দিস্তানের ইরবিলে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে অন্তত ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করা হলে ওই অঞ্চলে মার্কিন মিত্ররা আক্রান্ত হবে বলে হুমকি দিয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান লে. জেনারেল সোলেইমানি এবং ইরাকের হাশদ আল-শাবি নামে পরিচিত পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের (পিএমইউ) প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস ও তাদের আট অনুসারী গত শুক্রবার বাগদাদ বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন।