গেল বছরের আগস্টে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় ‘স্পর্শ’ ছবিতে শুটিং করতে বাংলাদেশে এসেছিলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এরপর গত জুলাই মাসে ঋতুপর্ণাকে নিয়ে নতুন সিনেমার ঘোষণা দেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ। ছবির নাম ‘তরী”। তরী ছবিটি প্রযোজনা করছে পুণ্য ফিল্মস।
এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকায় ছবির একটি লটের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে।। চলতি মাসেই ঢাকায় দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যুক্ত হওয়ার কথা ছিলো ঋতুপর্ণার। কিন্তু সেটা আর হচ্ছে না-এমনটাই জনালেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ। রাশিদ পলাশ বলেন, ‘তরী ছবির জন্য খাতুপর্ণার সঙ্গে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছিল। আমরা ছবিটির প্রথম লটের শুটিং শেষ করেছি। সেপ্টেম্বরে ঢাকায় এসে শুটিংয়ে যোগ দেওয়ার কথাও ছিল তার। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় ও শেষ লটের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম। এরই মধ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিডিউল ভেস্তে যায়। এখন নতুন করে শুটিংয়ের পরিকল্পনার কথা ভাবছি।’
২০০০ সালের পর বাংলা সিনেমায় ব্যাপকভাবে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে। এটাকে অনেকে চলচ্চিত্রের ‘অন্ধকার যুগ’ বা ‘কাটপিস’র যুগও বালেন। কাটপিসের যুগের একজন শিল্পীর চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল ঋতুপর্ণার। পশ্চিমবঙ্গ থেকে খাতুও এক বার্তায় ছবিটিতে অভিনয়ের কথা জানিয়েছেন।
নতুন শিডিউলে খাতুপর্ণা ছবিতে থাকবেন কি-না সে বিষয়ে জানতে চাইলেন রাশিদ পলাশ বলেন, ‘স্ক্রিন্ট অনুযায়ী বড়পর্ণার যে দৃশ্যগুলো রয়েছে সেগুলোর বেশির ভাগই আউটডোরের। অর্থাৎ তাকে নিয়ে রাজধানীর একটি বস্তিতে ১০-১২ দিন শুটিং করতে হবে। এই মুহূর্তে দেশের যে অবস্থা তাতে ঋতুদির মতো বড়ো তারকাকে নিয়ে আউটডোর শুটিং করা কঠিন হয়ে যাবে। তাই তার জায়গায় দেশের অন্য কোনো অভিনেত্রীকে নিয়ে সিনেমার কাজটা শেষ করতে চাই।’ তরী সিনেমার গল্প লিখেছেন আহাদুর রহমান। চিত্রনাট্য করেছেন গোলাম রাব্বানী। এ বছয়াই শুটিং-ডাবিং ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ।