উত্তর কোরিয়ার উপর বাড়তি চাপ দেয়ার জন্য চীনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিংকে অনুরোধ করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৩ নভেম্বর জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম ফিলিপাইন এবং চীন সফরে বের হবেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর এশিয়াতে এটাই তার প্রথম সফর।
গত বুধবার শুরু হওয়া চীনের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে আধুনিক সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকার করেছেন শি জিনপিং। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনিই থাকবেন।
ট্রাম্পের বিশ্বাস, উত্তর কোরিয়ার হুমকি বন্ধে সবচেয়ে বেশি উপায়ে কাজ করতে পারবেন শি জিনিপিং। পিয়ংইয়ংকে পছন্দ না করলেও সেখানকার মানসিকতা পরিবর্তনে চীনের সহযোগিতা চান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে দুশ্চিন্তা কমাতে চীনের সহযোগিতার আশায় কয়েক সপ্তাহ ধরে শি জিনপিংয়ের প্রশংসা করে আসছেন ট্রাম্প। ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের মারিয়া বার্টিরোমোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু করার ক্ষমতা রাখেন শি জিনপিং। কী ঘটছে তা দেখছি আমরা। তবে যে কোনো কিছুর জন্য আমরা প্রস্তুত। আমাদের কী পরিমাণ প্রস্তুতি আছে, আপনি বিশ্বাসই করতে পারবেন না।’
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে রকেট ম্যান হিসেবে তাচ্ছিল্য করে প্রয়োজনে তার দেশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানান, প্রথম বোমা ফেলার আগ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ট্রাম্প নাকি তাকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, কূটনৈতিকভাবে সঙ্কট সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে।
সূত্র : রয়টার্স