উৎসবে ট্রফিবরণ আবাহনীর

:
: ৬ years ago

আবাহনীর শিরোপা নিশ্চিত হয়েছিল আগের ম্যাচে শেখ জামালকে হারিয়েই। বৃহস্পতিবার লিগের শেষ ম্যাচ খেলে ষষ্ঠবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে ঘরে ফিরলো আকাশী-হলুদরা। নিজেদের শেষ ম্যাচে আবাহনী গোলশূণ্য ড্র করেছে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে। এ ড্রয়ে ২২ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করলো ৬ বারের চ্যাম্পিয়নরা।

ট্রফিবরণের ম্যাচে উৎসবের প্রস্তুতি নিয়েই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এসেছিলেন আবাহনী সমর্থকরা। ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা নীল-আকাশী টি-শার্ট গায়ে আর মাথায় ছিল ক্যাপ। আবাহনীর পতাকা ছিল, ছিল ব্যান্ডপার্টি। পটকা আর আতশবাজিও ফুটলো কয়েকটা। ট্রফি আর বিজয়ী খেলোয়াড়দের ক্লাবে নিতে ঘোড়ার গাড়িও ছিল। তবে এ ম্যাচে পশ্চিম গ্যালারির চেহারা তেমন বদলায়নি। মাত্র হাজারখানেক দর্শক উপস্থিতি বড্ড বেমানান ছিল উৎসবের দিনে।

তবে প্রচন্ড শীত উপক্ষো করে প্রিয় দলের ট্রফি গ্রহণের দিন যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই তারা ‘আবাহনী-আবাহনী’ বলে স্লোগান নিয়ে মাতিয়ে রাখেন গ্যালারি। শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে কয়েকশত দর্শক ঢুকে পড়েন মাঠে। সঙ্গে বাদক দলও ঢুকে পড়লো। ট্রফি আর ট্রফি জেতা ফুটবলারদের নিয়ে উচ্ছ্বাস করে আকাশী-হলুদ সমর্থকরা। ক্লাব পতাকা আর ট্রফি নিয়ে মাঠজুড়ে চক্করও দেন সমর্থকরা।

প্রফেশনাল লিগ শুরুর পর থেকে আবাহনীই দেখিয়ে আসছে বড় দাপট। প্রথম তিন আসরে চ্যাম্পিয়ন, পরে আরো তিনটি। ১০ আসরের মধ্যে ৬ টি ট্রফি জিতে নিজেদের অনন্য করে তুলেছে ধানমন্ডির ক্লাবটি। এ মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপও জিতেছে আবাহনী। এখন তাদের সামনে ট্রেবল জয়ের হাতছানি। মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে স্বাধীনতা কাপ। এ টুর্নামেন্ট জিতলে আবাহনীর সাফল্যের খাতায় যোগ হবে আরেকটি কীর্তি।

এমন আনন্দঘন সন্ধ্যায় আবাহনীর উর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তাকে দেখা না যাওয়াটা ছিল খুবই দৃষ্টিকটু। আবার খুশিতে আবাহনী যেমন ভুলে গিয়েছিল জার্সি আনতেই। তাই তারা খেলেছে দুই অর্ধে দুই রঙের জার্সি পড়ে। শুরু করেছিল হালকা কালো রঙের জার্সি দিয়ে, দ্বিতীয়ার্ধে হলুদ। মূল জার্সি ভুলে ক্লাবে রেখে আসার কারণেই আবাহনীকে ম্যাচ শুরু করতে হয় ওয়ার্মআপ জার্সি গায়ে।

ট্রফি বিরতণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সিনিয়র সহ সভাপতি ও প্রফেশনাল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী, সহ সভাপতি মহিউদ্দিন মহি ও সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।