উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগে একাধিক প্রার্থীর আশঙ্কা

:
: ৫ years ago

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মাথাব্যাথার কারণ হতে পারে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে হতে যাওয়া এ নির্বাচনে, দলের মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন ৮ থেকে ৯ জন করে প্রার্থী।

তফসিল ঘোষণার আগেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়তে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। দলের মনোনয়ন পেতে কোথাও কোথাও ৮ থেকে ১০ জন নেতা মাঠে আছেন।

ময়মনসিংহের ১৩টি উপজেলায় মনোনয়ন পেতে মাঠে আছেন ৫৫ জন। সিলেটের ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১১টিতে নির্বাচন হবে। এসব উপজেলায় প্রার্থী হতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ৩১ জন। রংপুরের ৮টি উপজেলায় মনোনয়ন আশা করছেন ২২ জন।

অনেকের ধারণা, আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবেন এই নির্বাচনে। যা দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নষ্ট করতে পারে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, ‘অনেক সময় সবাইকে নিয়ে একত্রে কাজ করা সম্ভব হয়ে উঠে না। একেক জনের একেক রকম মত থাকতে পারে, যেগুলো দলের শৃঙ্খলা নষ্ট করতে পারে।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোতে এখন আর তেমন শৃঙ্খলা দেখা যায় না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানেও ক্ষমতার রদবদল হবে জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে। এটি যদি না হয় তাহলে প্রক্রিয়াটি কার্যকর এবং এটি কল্যাণকর হবে না।’

তবে একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় কমিটি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবে না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘যারা মনোনয়নের জন্য ইচ্ছা পোষণ করে তাদের সেই যোগ্যত আছে বলে আমি মনে করি। কিন্তু যেহেতু এক ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দেয়া হবে, সেহেতু যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে দলের সিদ্ধান্ত মেনে সবাই তাকে স্বাগত জানিয়ে একত্রে কাজ করবে বলে আমি মনে করি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব:) ফারুক খান বলেন, ‘যদি কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়, তাহলে দলের গঠণতন্ত্র অনুযায়ী যে ব্যবস্থা আছে তার বিরুদ্ধে সেই ব্যবস্থাই নেয়া হবে।’

এদিকে, আগামী ৩রা ফেব্রুয়ারির মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন যোগ্য প্রার্থীর নাম পাঠাতে তৃণমুলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেবে না দল।