চাঁদপাশা স্কুল এ্যান্ড কলেজ এর পাশ ঘেঁষে মাঝখানে বয়াতি বাড়ি হয়ে বকশির চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলটির শত শত শিক্ষার্থীসহ হাজার মানুষের চলাচলকারী একমাত্র রাস্তাটিতে লাগেনি সরকারের উন্নয়নের ছোয়া! এর মধ্যে লাখুটিয়া থেকে জামতলার পুল পর্যন্ত ইটের হেরিংমোন করা হলেও তা এখন বিপদের অন্যতম কারোণ বলে মনেকরছে এলাকাবাসী।
অপর দিকে জামতলার পুল থেকে হাওলাদার বাড়ির সামনে দিয়ে বকশির চড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত পুরো রাস্তাটি উন্নয়নের আমলে এখনও স্বপ্ন! শুকনো মৌশুমে রাস্তার পাশ থেকে মাটি কেটে উচু করলেও তেমন সুবিধা পাচ্ছে না সাধারন মানুষ। বর্ষার পানিতে রাস্তাটি ব্যপক কর্দমক্ত হয়ে যায়। হাটু সমান কাদায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। ইটের হেরিংমোনের রাস্তার অংশের প্রায় স্থানে নেই ইট। বড় বড় গর্তের কারনে রাতের অন্ধকারে অনেকেরই চলাচলে অসুভিধা হচ্ছে। সারা দেশে সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের আভাস পাওয়া গেলেও সম্পুর্ণ ব্যতিক্রম এলাকা চাঁদপাশার বকশির চড়।
সরেজমিনে জানাগেছে, বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৬ নং বকশির চড় গ্রামের রাস্তা ঘাট,কালভার্ট,ব্রিজসহ এলাকাটির অবকাঠামোগত উন্নয়নে বরাবরই পিছিয়ে। একাধিক সরকারের পালা বদল হলেও এলজিইডি থেকে প্রত্যাশীত কোনো সারা মিলছে না ঘনবসতিপুর্ণ এই এলাকায়।
লাকুটিয়া থেকে পোস্ট অফিসের বাজার পর্যন্ত হেরিংমোন করা প্রধান সড়কের অবস্থাও নাজুক। সড়কটি পিচঢালাই করে পাকা করা হলে ডিজিটাল যোগাযোগের মাত্রা পেতো চাঁদপাশাবাসী। বহুদিনের পুরোনো হেরিংমোনের সড়কের মাঝে মাঝে নেই ইট। ভয়ানক গর্ত সৃস্টির কারোণে প্রায় দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের।
হেরিংমোনের ফাঁদে থাকা আর একটি সড়কের নাম মোহনগঞ্জ। লাকুটিয়ার ব্রিজের খালের পাশ দিয়ে সড়কটিও সংস্কার হচ্ছেনা । সড়কের মাঝে ইট না থাকায় দুর্ঘটনায় ঘটছে প্রায় সময়। পুরোনো এই সড়কে মাঝে মধ্যে স্থানিয় ইউপি সদস্যরা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি ভরাট করলেও তা কাজে আসছে না। সড়কের মাটি বৃস্টি হলেই ধসে পড়ছে খালে। অথছ সড়কটি পাকা করনের ফলে চাঁদপাশা থেকে মোহনগঞ্জ বাজারের যাতায়াত ব্যবস্থায় দারুন পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
বাবুগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার মধ্যবর্তি হওয়ায় চাঁদপাশা এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লাখুটিয়া বাজার,চাঁদপাশা স্কুল এ্যান্ড কলেজ,মোহনগঞ্জ বাজার,স্কুল, ক্যাডেট কলেজ,পোস্ট অফিসবাজার,বায়লাখালী মাধ্যুমিক বিদ্যালয় সহ সরকারি বেসরকারি নানা প্রতিষ্টান রয়েছে। কিন্তুু সেই তুলোনায় যোগাযোব্যবস্থায় আধুনিকায়ন লক্ষ করা যাচ্ছে না। ফলে এখানকার ব্যবসায় প্রতিষ্টানেও তেমন উন্নতি হচ্ছেনা।
যোগাযোগের দুরবস্থার কথা স্বীকার করে স্থানিয় ইউপি সদস্য আবুল বাসার (খোকন আকন) মুঠফোনে প্রতিবেদককে বলেন, আমি বকশিরচড় এলাকার জামতলার কাঁচা রাস্তাটি উচু করছি। সাধারন মানুষের মত আমারও দুখ, এখনো আমরা প্রত্যাশীত উন্নয়ন বঞ্চিত। রাস্তাটির জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এগিয়ে এলে হাজারও মানুষের উপকার হত। ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠত বলে মনেকরেন এই স্থানিয় জনপ্রতিনিধি।
চাঁদপাশার অবকাঠামোগত উন্নয়নে পিছিয়ে থাকলেও ধিরে ধিরে এগিয়ে যাচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন উপজেলা পরিসদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ফারজানা ওহাব। তিনি বলেন, আমরা যতটুকু সম্ভব বেহাল রাস্তাগুলোর মাটি ভরাট করে উচু করছি। টেকসই করার পরই এসব রাস্তায় পাকা করা যাবে বলে তিনি আশা করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,এলজিইডি চাইলে আমাদের চাঁদপাশা ইউনিয়নের যোগাযোগের আমুল পরিবর্তন করতে পারে। এসব রাস্তার দুরবস্থার কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অবগত করবেন বলে জানান উপজেলা পরিসদের তরুন নারী সদস্য ফারজানা ওহাব।