ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটতে বুধবার (২২ জুন) ‘রেল সেবা’ নামে নতুন একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) পর্যন্ত গুগল প্লে-স্টোরে অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক যাত্রী এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
তবে অ্যাপ তৈরি ও ব্যবস্থাপনার কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেটিং পার্টনার সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন (জেভি) এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, অ্যাপটি উদ্বোধনের পর তারা গুগলকে পাঠিয়েছেন। এখন প্লে-স্টোরে গুগলই সেটআপ করে দেবে। কিন্তু কখন দেবে বা প্লে-স্টোরে কখন পাওয়া যাবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তারা।
জানতে চাইলে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন (জেভি) ব্যবস্থাপক ফারহাত আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, গুগল প্লে-স্টোরে অসংখ্য ফেইক বা নকল রেল সেবা অ্যাপ রয়েছে। প্লে-স্টোরে রেল সেবা নামে সার্চ দিতেই এগুলো চলে আসে। গুগল আগে এসব ফেইক অ্যাপ অপসারণ করবে। তারপর রেলওয়ের ‘রেল সেবা’ অ্যাপটি যুক্ত করবে।
এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কতদিন সময় লাগবে জানতে চাইলে ফারহাত আহমেদ বলেন, ‘রেল সেবা’ বাংলাদেশ রেলওয়ে বা সরকারের একটি অ্যাপ। এই অ্যাপটি প্লে-স্টোরে ছাড়ার আগে গুগলের টেকনিক্যাল অনেক কাজ রয়েছে। শিগগির সব কাজ শেষ করে অ্যাপটি প্লে-স্টোরে পাওয়া যাবে।
গতকাল বুধবার (২২ জুন) দুপুরে রেল ভবনে এই অ্যাপের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে রেল যাত্রীরা বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকিট ওয়েবসাইটের (eticket.railway.gov.bd) পাশাপাশি ‘রেল সেবা’ অ্যাপ ব্যবহার করে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। এর মধ্যমে টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হবে। স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেটিং পার্টনার সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি জানায়, নতুন ‘রেল সেবা’ অ্যাপটি বর্তমানে গুগল প্লে-তে পাওয়া যাচ্ছে। টিকিট কাটার জন্য যাত্রীদের অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিজের নাম, মোবাইল নম্বর, ইমেইল অ্যাড্রেস, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর ইত্যাদি তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তবে কোনো যাত্রী যদি এরইমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকেট ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন তাহলে তাকে আর দ্বিতীয়বার রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। শুধুমাত্র মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করলেই হবে।
‘রেল সেবা’ অ্যাপ ব্যবহার করে টিকিট কাটার জন্য যাত্রীকে তার পছন্দ অনুযায়ী যাত্রা শুরুর স্টেশন, গন্তব্য স্টেশন, ট্রেনের ক্লাস ও যাত্রার তারিখ নির্বাচন করতে হবে। একই সঙ্গে ‘ট্রেন ডিটেইলস’ থেকে সহজেই ট্রেনের বিস্তারিত তথ্য দেখতে পারবেন। তারপর অ্যাভেইলেবল ট্রেন থেকে পছন্দমতো বগি এবং সিট নির্বাচন করে অনলাইন পেমেন্টের (ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড অথবা এমএফএস) মাধ্যমে টিকিট কাটতে পারবেন। এরই মাধ্যমে ই-টিকিট যাত্রীর ইমেইলে সেন্ড হয়ে যাবে।
অ্যাপ থেকে নিজের সুবিধামতো ই-টিকিট ডাউনলোড করা যাবে। যাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ‘রেল সেবা’ অ্যাপের নেভিগেশন বারে সংযুক্ত করা হয়েছে নানান ফিচার। ‘ভেরিফাই টিকেট’ ট্যাব থেকে সহজেই টিকিট ভেরিফাই করার সুবিধা রয়েছে। এছাড়া ‘মাই টিকেটস’র মাধ্যমে ৭ দিন পর্যন্ত পুরাতন ও আসন্ন ট্রিপ ডিটেইলস দেখা যাবে। যাত্রীরা প্রয়োজনে ‘মাই অ্যাকাউন্টস’ থেকে রেজিস্ট্রেশনের সময় দেওয়া তথ্য, পাসওয়ার্ড আপডেট করতে পারবেন।