উদাসীন হলে দ্রুতই করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

মানুষের স্বাস্থ্যবিধিতে ব্যাপক অনীহা ও অবহেলার কারণে দেশে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, সেই ঘটনা আবার ঘটতে দিলে খুব দ্রুতই দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে আসতে পারে।

রোববার (২ মে) সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মানুষ যুদ্ধ করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে কিন্তু চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য মানুষ খুব বেশি ভাবেনি এবং স্বাস্থ্যখাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে তেমন কোনো পরিকল্পনাও নেয়নি।

তিনি বলেন, এবারের করোনা মহামারিতে বিশ্ব বুঝতে পেরেছে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ কতটা জরুরি একটি বিষয়। করোনা দেখিয়ে দিচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়া এ পৃথিবীতে মানুষ বেশিদিন বাঁচতে পারবে না।

জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশেও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাজেট অনেক কম। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেই হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বৃদ্ধিসহ বিনিয়োগও বৃদ্ধি করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের করোনার ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। ভারত থেকে এই ভাইরাস আমাদের দেশেও চলে আসতে পারে। এ কারণে আগামীতে স্বাস্থ্যখাতের সব পর্যায়ের কর্মীদের সতর্কতার সঙ্গে সেবা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, করোনার প্রথম ঢেউ আমরা সফলভাবে সামলিয়ে নিয়েছিলাম। মানুষের স্বাস্থ্যবিধিতে ব্যাপক অনীহা ও অবহেলার কারণে দেশে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। এখন দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা কমে যাচ্ছে। তবে প্রথম ঢেউয়ের পর যেভাবে মানুষ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীন হয়েছিল সেই ঘটনা আবার ঘটতে দিলে খুব দ্রুতই দেশে তৃতীয় ঢেউ চলে আসতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কমিউনিটি ক্লিনিকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী প্রমুখ।

সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।