উজিরপুরে জনসেবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভূয়া এমবিবিএস ডাঃ পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বরিশালের উজিরপুরে ধামুরায় জনসেবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড ডক্টরস চেম্বারে হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুবেদিক সনদ প্রাপ্ত চিকিৎসক উম্মে কুলসুম ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তারের পরিচয় দিয়ে এলোপতি চিকিৎসার নামে রোগীদের ধোকা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় তিনি বরিশাল থেকে এসে সপ্তাহে ২দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে বসে ও ২দিন ধামুরা জনসেবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে বসে।

 

২৩ জুন মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সাংবাদিকরা সঠিক তথ্য উৎঘাটনের জন্য জনসেবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে হাজির হয়। সেখানে গিয়ে কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিন তালবাহানা শুরু করে। এমনকী সে এমবিবিএস ডাঃ কিনা তা জানতে চাইলে বলেন তার চেয়ে কোন অংশেই আমি কম নই। এরপর হোমিওপ্যাথিক , ইউনানী ও আয়ুবেধিক এর কিছু কাগজপত্রাদী দেখিয়ে পার পাবার চেষ্টা করে। এছাড়াও সে নিজেকে অনেক বড় ডাক্তারের পরিচয় দেয়। আরো বলেন আল্ট্রা ¯েœানোগ্রাফি চিকিৎসায় উজিরপুরে তার তুলনা হয়না।

 

ভূয়া ডাঃ পরিচয় দিয়ে নিজের প্রশংশা নিজেই করে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে চিকিৎসার নামে নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে বলে দাবী করেন সচেতন মহল। সরেজমিনে গিয়ে আরো দেখা যায় জনসেবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সামনে বিভিন্ন ডাক্তারের সাইনবোর্ড সাটানো থাকলেও কারো দেখা মেলেনি। শুধু উম্মে কুলসুম চিকিৎসা দিচ্ছে সকল রোগীদের। একদিকে উজিরপুরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে একাধিক ডায়াগনষ্টিক সেন্টার।

 

অপরদিকে ভূয়া ডাক্তাররা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বর্তমানে রোগীর সেবা নয় যেন ব্যবসায় পরিনত হয়েছে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলি। এব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক উম্মে কুলসুম জানান হোমিওপ্যাথিক কোর্স শেষ করে সনদ পেয়েছি বলেই ডাঃ পরিচয় দিতে পারি এবং রোগীদের ডাঃ লেখা প্রেসকিপশন দিতে পারি। আমার কোন আইনি জটিলতা নেই। কাগজপত্র নিয়ে চ্যালেন্স মোকাবেলা করা আমার কাছে কোন বিষয় না।

 

জনসেবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক জাকির হোসাইন মেহেদী কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে জানান আমাদের প্রতিষ্ঠানে ওই ডাঃ শুধু আলট্রা রিপোর্টের বিষয়টি দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ শওকত আলী জানান আমি শুনেছি হাসপাতালের সন্নিকটে ডিজিট্যাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ধামুরা জনসেবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে উম্মে কুলসুম এমবিবিএস ডাঃ না হয়েও ভূয়া ডাঃ পরিচয় দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকে।

 

এরপর আমি নিজেই তার বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দিতে চেয়েছিলাম। হয়তো বিষয়টি টের পেয়ে কয়েকদিন ধরে সেখানে চিকিৎসা বন্ধ করেছে। তাই লিখিত অভিযোগটি দেখা হয়নি। তিনি আরো বলেন কেউ এমবিবিএস ডাঃ না হলেও প্রেসক্রিপসনে ডাঃ লিখতে পারবেনা।

 

লিখে থাকলে তা আইন সম্মত হবেনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রনতি বিশ্বাস জানান বিষয়টি তদন্ত করে অবশ্যই দেখা হবে। ওই ভূয়া ডাক্তারের আইনগত বিচারের দাবী জানিয়ে সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার সু-দৃষ্টি কামনা করেন সচেতন মহল।