বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদী থেকে আমিন মমিন হাউজিং কোম্পানির দখল করা জমি উদ্ধার ও তাদের উচ্ছেদ করে খনন কাজ শুরু করেছে বিআইডাব্লিউটিএ। বুধবার সকাল ১০টা থেকে ৪টি ভেপু দিয়ে ২৫ ফুট গভীর করতে খনন কাজ শুরু করায় এলাকাবাসী বিআইডাব্লিউটিএকে অভিনন্দন জানিয়ে উচ্ছেদের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন।
নদী খননের জন্য বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে কোনো ভবন ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি। সিএস ও এসএ নদীর ম্যাপ ধরে আমিন মমিন হাউজিং এর দুইশো পঞ্চাশ ফিট পাশ ও প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা বেস্টুনিতে খননের কাজ বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলে। বৃহস্পতিবার আরও ২০টি ভেপু খননে অংশ নেবেন বলে বিআইডাব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানান।
দুপুর ১২টায় আমিন মমিন হাউজিং ম্যানেজার ও তাদের পক্ষের আইনজীবী হাউজিং এর পক্ষে নদী খনন কাজে বাধা দেন। এতে খনন কাজ প্রায় এক ঘণ্টা খানেক বন্ধ থাকে। এ সময় সরকারি বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিআইডাব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুস্তাফিজুর রহমান হাউজিং এর ম্যানেজারকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বিআইডাব্লিউটিএর অভিযানে থাকা ঢাকা নদী বন্দর যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, উদ্ধার করা জমি খনন করে নদী গর্ভে ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। শুধু আমিন মমিন হাউজিং নয়, পর্যায়ক্রমে মধুসিটি ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা উদ্যানসহ সবকটি উদ্ধারকৃত সরকারি জমি নদী গর্ভে ফিরিয়ে আনা হবে।
বন্দর পরিচালক শফিকুল হক বলেন, কোনো পেশিশক্তির কাছে তারা বাধাগ্রস্ত নন। উচ্ছেদের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে উদ্ধারকৃত বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর সকল জমি বিআইডাব্লিউটিএর দখলে রাখা হবে। তাদের এই উচ্ছেদ দেখে ভবিষ্যতে যেন কেউ নদী দখল করতে সাহস না পায় সেজন্য এই অভিযান নিয়মিত চলবে। ২৫ ফুট গভীর করে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে।