উচ্চ রক্তচাপে যা যা করণীয়

:
: ৭ years ago

রক্তচাপ যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে তাহলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপের তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন কিন্তু তারা সেটা জানেন না। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় অন্য কোনো রোগের জন্য চিকিত্সা নিতে গিয়ে হঠাত্ ধরা পড়ে উচ্চ রক্তচাপ অথবা দীর্ঘদিনের উচ্চ রক্তচাপ থেকে কোনো একটি জটিল কিছু হলেই ধরা পড়ে এই উচ্চ রক্তচাপ ব্যাপারটা। তাই একে বলা যায় উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক।
বর্তমান সময়ে উচ্চ রক্তচাপ একটি স্থায়ী রোগ হিসেবে বিবেচিত হলেও এর জন্য চিকিত্সা ও প্রতিরোধ জরুরি। তবে কেউ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে তা বলার আগে অন্তত তিন দিন তিনটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অন্তত ৫ মিনিট বসে থাকার পর রক্তচাপ মাপা উচিত। যদি তিন বারই বেশি পাওয়া যায় তাহলে তিনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন বলে ধরে নেয়া যায়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপের কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে বংশগত বা জেনেটিক কারণ অনেকাংশেই দায়ী এই রোগের জন্য। এছাড়া কিছু অভ্যাস যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলে। যেমন: অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি, কাজের চাপ, ধূমপান, মদ্যপান, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি। ধারণা করা হয় প্রায় শতকরা ৬০ ভাগ রোগী অতিরিক্ত লবণ সেবনের জন্য উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন।
রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার জন্য শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন- মাথা ব্যথা বিশেষ করে মাথার পেছনে ও ঘাড়ে, মাথা ঘোরানো, বুক ধড়ফড় করা, ক্লান্তি, বুকব্যথা, নাক দিয়ে রক্তপড়া ইত্যাদি। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হলে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা যেমন বাড়তে পারে তেমনি বাড়তে পারে মৃত্যুঝুঁকিও। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করে ফেলুন এখনই।
যেমন- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, রান্নায় অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার না করা, তৈলাক্ত খাবার কম খাওয়া, ধূমপান পরিহার করা ইত্যাদি। নিয়মিত রক্তচাপ মেপে দেখুন। নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন। একবার উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয় হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন-যাপন করুন। সুস্থ থাকুন।