ঈদ যাত্রায় ২০৯ লঞ্চে দক্ষিণাঞ্চলের ২০ লাখ মানুষকে বহনের প্রস্তুতি

:
: ৬ years ago

পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে রমজানের শেষ ১০ দিনে বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো প্রায় ২০ লাখ মানুষকে বহনের জন্য ২০৯টি লঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে। আগামী ৫ জুন থেকে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের পরিবহন করবে এসব নৌযান।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং নৌযান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ঈদ যাত্রাকে নির্বিঘœ করতে নৌ-মন্ত্রীর নেতৃত্বে ইতোমধ্যে দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওইসসভায় ঈদে ঝামেলামুক্ত নৌযান চলাচলে করণীয় সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত কোন নির্দেশ দেওয়া হয়নি লঞ্চ মালিক বা বন্দর কর্তৃপক্ষকে। তবে সার্বিক দিক মাথায় রেখেই দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের পরিবহনে এরইমধ্যে ২০৯টি লঞ্চ প্রস্তুত করেছেন লঞ্চ মালিকরা। এরমধ্যে বিভিন্ন রুটের পাঁচটি নতুন বিশালাকৃতির লঞ্চ ঈদ উপলক্ষে যাত্রী পরিবহনে নামবে। অপরদিকে ২০৪টি লঞ্চের মধ্যে যেগুলো পুরনো বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ ছিলো সেগুলোর বেশির ভাগেরই রং ও ত্রুটি সারিয়ে ফের চলাচলে উপযোগী করা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা নদী বন্দরের যেসব পল্টুন আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ রয়েছে সেগুলো মেরামত করছে নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। সব শ্রেণীর যাত্রীরা যেন টিকিট পান সেজন্য ঈদের ৮ থেকে ১০ দিন আগে টিকিট বিক্রির জন্য কাউন্টার খোলা হবে। তবে লঞ্চ মালিকরা বলছেন, অধিকাংশ টিকিট ফোনে ফোনে বিক্রি হয়ে যায়।

ঈদে নৌপথে যাতায়াত ঝামেলাহীন হবে দাবি করে নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, এবারের ঈদের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে ২০৯টি লঞ্চ চলাচল করবে। গত ঈদের তুলনায় এবার বড় পাঁচটি লঞ্চ বেড়েছে। তাই অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে কাউকে লঞ্চে ভ্রমণ করতে হবেনা বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ফিটনেসবিহীন নৌযান চলাচলের ব্যাপারে তিনি বলেন, একটি লঞ্চের গড় আয়ুকাল থাকে ৩০ বছর। কিন্তু ৩/৪ বছর চলার পরেই অনেক লঞ্চের রং বা রিপেয়ারিং করার দরকার পরে, তার মানে এই নয় যে লঞ্চের ফিটনেস নেই। যখন ফিটনেস থাকেনা তখন এমনি

লঞ্চ আর চলতে পারেনা। নদী বন্দর ও নৌপথের নিরাপত্তার ব্যাপারে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৭০ জন পুলিশ সদস্য ফাঁড়িতে যোগ দিয়েছেন। সামনে আরও টিম আসবে। এখানে ঢাকা মহানগর পুলিশ, নৌপুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, র্যাব, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে প্রায় পাঁচ’শ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৫ years ago