ঈদ বকশিশের নামে লঞ্চে বাড়তি ভাড়া, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

:
: ২ years ago

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ।

গতকাল পটুয়াখালীর লঞ্চঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ছিল উপচে পড়া ভিড়। লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঘাট ত্যাগ করে।

ঢাকাগামী যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতিটি লঞ্চে ঈদের বকশিশ হিসেবে গুনতে হয়েছে বাড়তি ভাড়া। তা ছাড়া গতকাল বিকেলে ঝড়ো হাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

 

বিআইডব্লিউটিএ থেকে জানানো হয়েছে শনিবার পটুয়াখালী থেকে ৮টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এসব লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী তুলতে দেওয়া হয়নি।

 

সরেজমিন পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বেলা পৌনে ২টার দিকে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো বাতাস শুরু হলে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে লঞ্চের ডেকের যাত্রীদের বিছানাপত্র ও মালামাল ভিজে যায়।

 

পরে নির্ধারিত সময়ের আগেই বেলা পৌনে ৩টা থেকে সোয়া ৩টার মধ্যে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় এমভি প্রিন্স অব আওলাদ-৭, এমভি সত্তার খান-১, এমভি সুন্দরবন-১৪, এমভি পুবালী-১২ এবং বিকেল ৪টার পর ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় এমভি এ. আর খান-১।

 

প্রতিটি লঞ্চেই নেওয়া হয় অতিরিক্ত যাত্রী। যাত্রীদের অভিযোগ, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ সাধারণ ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছে।

 

জানা গেছে, ডাবল কেবিন ২ হাজার ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৩ হাজার টাকা এবং সিঙ্গেল কেবিন ১ হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ডেকের ভাড়াও ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. সাইখুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলাম। শনিবার প্রিন্স আওলাদ-৭ লঞ্চে ঢাকা যাচ্ছি।

 

লঞ্চের ডবল কেবিনের ভাড়া ২ হাজার ৮০০ টাকা। অথচ আমার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা রেখেছেন বুকিং কাউন্টারের লোকজন।

 

এমভি প্রিন্স আওলাদ-৭ লঞ্চের স্থানীয় বুকিংম্যান মো. রনি বলেন, ‘ঈদের সময় বকশিশ হিসেবে সব লঞ্চেই ডাবল কেবিনে ২০০ টাকা এবং সিঙ্গেল কেবিনে ১০০ টাকা করে বকশিশ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।’

বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মো. মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘শনিবার পটুয়াখালী থেকে ৮টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এসব লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী তুলতে দেওয়া হয়নি। বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে কিছু জানি না। কেউ অভিযোগ করেননি।’