গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় ৩১ জন আহত হয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এখনও দুইজনের নাম-পরিচয় কিছুই জানা যায়নি। সবাই ঈদ করতে নিজ নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদরের উত্তর গোপীনাথপুর নামক স্থানে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাইভেটকার চালকসহ দুই জন নিহত ও এক নারী আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, প্রাইভেটকার চালক প্রিন্স ইসলাম (৩৮) ও তার ফুফাতো ভাই শিমুল (৩৫)। প্রিন্সের স্ত্রী কেকাকে (৩০) গুরুতর আহত অবস্থায় গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত প্রিন্স খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিচুর রহমান পপলুর ভাতিজা বলে জানা গেছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রিন্স তার স্ত্রী কেকা ও ফুফাতো ভাই শিমুলকে সঙ্গে নিয়ে ঈদ করার জন্য নিজে প্রাইভেটকার চালিয়ে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় যাচ্ছিলেন। সকাল ৬টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপীনাথপুর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী সেবা গ্রীনলাইনের একটি বাসের সঙ্গে তার প্রাইভেটকারটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় প্রিন্স ইসলাম ও তার ফুফাতো ভাই শিমুল ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গোপালগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালগঞ্জের ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার ছাগলছিড়া নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই নারীসহ ৩ জন নিহত ও ৩০ যাত্রী আহত হয়েছেন। নিহতের নাম রোজিনা বেগম (২৫)। তার বাড়ি মুকসুদপুর উপজেলার বর্নি গ্রামে। অপর দুইজনের নাম ও ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর থেকে মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি লোকালবাস ছাগলছিড়া স্থানে পৌঁছানোর পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রোজিনা নামে এক যাত্রী নিহত হন। অাহত অপর দুই যাত্রীকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। আহতদের মুকসুদপুর ও রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মুকসুদপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল পাশা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।