ঈদে বরিশাল নগরের নিরাপত্তার ১৪শ’ পুলিশ।।

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ( বিএমপি )

পবিত্র ঈদ-উল আযহাকে কেন্দ্র করে বরিশাল নগরের নিরাপত্তার দায়িত্বে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৪ ’শ সদস্য নিয়োজিত থাকছে। যারমধ্যে লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, পশুর হাট এবং নগরের বাজার ও শপিংমলগুলোকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। এসব জায়গায় পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবে। নারী পুলিশ সদস্যরা অপরাধীকে চিহ্নিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এসএম রুহুল আমিন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, মূলত প্রতিবছরই ঈদ-কোরবানীসহ ধর্মীয়

অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিশেষ  কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ধারাবাহিকতায় এবারের কোরবানীর ঈদকে ঘিরে এরই মধ্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা মাঠ পর্যাুয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। স্বাভাবিক টহলের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট বসানো হচ্ছে।যেখানে সন্দেহজনক ব্যক্তি বা যানবাহনের গতিবিধি লক্ষ করা হচ্ছে। নগর জুড়ে  গোয়েন্দা শাখার পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী পুলিশও রয়েছে। তিনি বলেন, জঙ্গি হামলা বা এ ধরনের কোন বিষয়ে আশঙ্কা করছি না। তবে জঙ্গি’র বিষয়টি সবসময় হিসেবে রেখে পুলিশকে কাজ করতে হচ্ছে। তাই ওইভাবে প্রস্তুতি নিয়েই কাজ করা হচ্ছে। পুলিশ কমিশনার বলেন, ঈদের জামাতকে ঘিরে বড় বড় ঈদগাহ ময়দানগুলোকে ঘিরে সাদা ও পোশাকধারী পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি মেটাল ডিটেক্টরও থাকবে।তবে ছোট  বড় সকল ঈদগাহ ও ঈদের জামাতকে ঘিরে পুলিশের টহল জোরদার থাকবে।

এসএম রুহুল আমিন বলেন, বরিশাল নগরের বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে সিট কর্পোরেশন। যেগুলো লেগেছে এবং কাজে আসছে সেগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার আমরা নিশ্চিত করবো। মানুষ সচেতন হয়েছে, এরইমধ্যে নগরের অনেক মার্কেট-বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছেন নগরবাসী। লঞ্চেও সিসি ক্যামেরা রয়েছে। যা অপরাধীদের সনাক্ত করতে কাজে আসছে। পশুর হাটের বিষয়ে তিনি বলেন, হাটের ইজারাদারদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। গরুর হাটের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি ইজারাদারতের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। প্রতিটি হাটে সিসি ক্যামেরা বসাতে বলা হয়েছে। অন্তত হাটে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাল টাকা সনাক্তে ইতিমধ্যে প্রতিটি হাটে লোকসহ মেশিন রয়েছে। পাশাপাশি হাটে  মোটা-তাজা করণ পশুর উপস্থিতি রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। আর পশু ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাকে জোর করা যাবে না। কোন হাটে জোর করে পশু নামানো যাবে না। তিনি বলেন, বরিশালের বিভিন্ন স্থানে টোল আদায় করা হয়, সেসব স্থানেও নজরদারী রাখা হচ্ছে যাতে পশু বহনকারী ট্রাক বা যানবাহনগুলো থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা না হয়। সবমিলিয়ে নগরবাসীকে  নিরাপদ ঈদ উপহার দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিন।