ঈদের পর বাড়ল পেঁয়াজের দাম

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

ঈদের পরে দুদিনে ভারতের পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি প্রায় ৫ টাকা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশি পেঁয়াজের বাজারেও। এতে খুচরা বাজারে ভারতের পেঁয়াজের দাম দেশি পেঁয়াজের সমান। বাজারে এখন উভয় পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, যা ঈদের আগেও ৫ টাকা কম ছিল।

পেঁয়াজের আমদানিকারক আবদুল মাজেদ বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধে ভারত থেকে পেঁয়াজ আনা যাচ্ছে না। এ কারণে বাজারে ভারতের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমদানি প্রায় বন্ধ।’

তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়েনি মোকামে। কিন্তু ভারতের পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খিলগাঁও বাজারের খুচরা বিক্রেতা আবু হানিফ বলেন, ‘ভারতের প্রতি কেজি পেঁয়াজ ঈদের পরে মোকামে ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা ছিল।’

অন্যদিকে কাঁচাবাজারে ঈদের পর থেকে বেড়ে যাওয়া সবজি, মাছ, মাংসের দাম কমেনি। যদিও ঈদের পরদিন কাঁচাবাজারে অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল, ছিল না ক্রেতার খুব একটা আনাগোনাও। তারপরও দাম চড়া।

 

রোববার (১৬ মে) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারে পাইকারিতে কাঁচামরিচ, পেঁপে, গাজর, করলা, কাকরোলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে।

আড়তদাররা বলছেন, ঈদের দিন অনেকেই মোকাম করেননি। গ্রাম থেকে সবজি আসছে না। এ কারণে দাম বেড়ে গেছে।

এদিকে খুচরা বাজারে এক কেজি পেঁপের দাম ৮০ টাকায। ঈদের আগে যে কাঁচামরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন ১২০ টাকা কেজি। একইভাবে গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কাঁচকলার হালি ৪০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুধু পটল আর ভিন্ডি (ঢ্যাঁড়শ) ছাড়া অন্যান্য প্রায় সব সবজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শুধু পটল আর ভিন্ডির দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।

তালতলা বাজারের ব্যবসায়ী বাছেদ হোসেন বলেন, ‘আড়তে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে ঈদের পর থেকে। এর মধ্যে পেঁপে, কাঁচামরিচ ও কলার দাম বেড়েছে বেশি। মরিচের দাম এক রাতে দ্বিগুণ হয়েছে।’

এদিকে রোববারও বিভিন্ন বাজারে অনেক দোকান বন্ধ দেখা গেছে। দু-একদিন পর থেকে রাজধানীতে মানুষ পুরোদমে ফিরতে শুরু করলে বাজার আবার জমে উঠবে।

 

এদিকে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা থেকে নামেনি। একই সঙ্গে পাকিস্তানি মুরগি ২৬০ টাকা, লেয়ার ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তালতলা বাজারে মুরগির দোকানি সবুজ বলেন, ‘রাস্তা-ঘাটে যানজট না থাকলে মুরগির সরবরাহ অনেক বাড়বে আজ-কালের মধ্যে। তখন দাম কমে আবার আগের মতো ১৪০ টাকায় আসবে।’

এদিকে বাজারে এখনও গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। খাসির মাংসের দাম ৯০০ টাকা কেজি।

মালিবাগ বাজারের মাংস ব্যবসায়ী বুলু মিয়া বলেন, ‘গরুর দাম ও পরিবহনের ভাড়ার কারণে প্রতিকেজি মাংসে ৬১৫ টাকা খরচ হচ্ছে। গরুর দাম না কমলে মাংসের দাম আগের অবস্থায় যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’