ঈদুল ফিতরে বরিশালে নৌ ও সড়ক পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে : পুলিশ সুপার

:
: ১ বছর আগে

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌ পথে নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য জেলার ৪০ টি লঞ্চ, স্টিডবোট ঘাট ও ট্রলার ঘাটে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। সেলক্ষ্যে নৌপুলিশের সাথে সমন্বয় করে প্রতিটি লঞ্চঘাটে আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের সাথে সমন্বয় করে ভূরঘাটা থেকে বাকেরগঞ্জ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার মহাসড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে নতুন করে সাজানো হবে। সেইসাথে গৌরনদী, মাহিলারা, ইচলাদি ও বাকেরগঞ্জ বন্দরে ট্রাফিক পরিদর্শকদের সার্বক্ষনিক দায়িত্ব দেয়া হবে। যাতে সড়ক পথেও ঈদে ঘরমুখো জনসাধারণের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলা পুলিশ প্রয়োজনীয় সকল স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ক এক মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম, বিপপিএম।

জনগন যাতে নির্বিঘ্নে ও শান্তিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারে সে লক্ষে সকলের সহযোগীতা কামনা করে তিনি আরো বলেন, আমাদের আওতায় ইচলাদীতে দুটি সেতুর টোলঘর রয়েছে। যেখানে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, এবারে আমরা টোল আদায়কারীদের সাথেও কথা বলবো। যাতে ড্রাইভার বা হেলপার নয়, তাদের লোকজনও এগিয়ে যায় টোল আদায়ের জন্য। প্রয়োজনে দুই সারিতে ২০-৩০ জন সেচ্ছাসেবক রাখতে হবে টোল আদায়কারীদের। যাতে করে তারা স্লিপ নিয়ে অগ্রিম টোল আদায় করতে পারে। তাহলে টোল আদায়ে যানবাহনের লম্বা সারি হবে না।

এসময় তিনি যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিদিন আমাদের এখানে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। গতকাল সোমবারও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালনার পাশাপাশি বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালনা বন্ধ করে আমরা চাই ডিসিপ্লিন মেইন্টেন করা হউক। এজন্য আপনাদেরও খেয়াল রাখতে হবে।

বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট ও রাত্রিকালীন পাহাড়া নিশ্চিতের কথা জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, একইসাথে জেলায় প্রচুর মানুষ আসবে, সেসময় যাতে কোন ধরনের ছিনতাই, প্রতারণা বা অপরাধমূলক কার্যক্রম সংগঠিত না হয় সেজন্য আমরা নিরাপত্তা প্লান করেছি। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, জেলাকে মাদক ও অপরাধমুক্ত রাখতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে হাইওয়ে পুলিশের সাথে সমন্বয় করে জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের ৬টি চেকপোস্ট নিয়মিতভাবে পালাক্রমে মহাসড়কে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। যার ফলে এখনো পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল এবং বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে কোন যানজটের সৃষ্টি হয়নি। আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ পরবর্তী জনসাধারণের গমনাগমন স্বাভাবিক, স্বাচ্ছন্দময় ও নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে জেলা পুলিশের চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ শাহজাহান হোসেন, পিপিএম সহ প্রমুখ।